গাজা উপত্যকায় নির্বিচার হামলার কারণে ইসরায়েলের সঙ্গে কূটনৈতিক সম্পর্ক ছিন্ন করেছে দক্ষিণ আমেরিকার দেশ বলিভিয়া। অন্যদিকে তাদের প্রতিবেশী কলম্বিয়া এবং চিলিও ইসরায়েল থেকে রাষ্ট্রদূতদের প্রত্যাহার করেছে।
দক্ষিণ আমেরিকার এই তিনটি দেশ গাজায় ইসরায়েলের হামলা এবং ফিলিস্তিনি নাগরিকদের মৃত্যুর নিন্দা জানিয়েছে।
এর আগে দেশ তিনটি ইসরায়েলকে আন্তর্জাতিক আইন লঙ্ঘনের জন্য অভিযুক্ত করে গাজায় যুদ্ধবিরতির আহ্বান জানিয়েছিল।
বলিভিয়া এবং চিলি গাজায় মানবিক সহায়তার পাঠানোর জন্য চাপ দিয়ে আসছিল। মেক্সিকো এবং ব্রাজিলের মতো লাতিন আমেরিকার অন্যান্য দেশ গুলোও গাজায় যুদ্ধবিরতির আহ্বান জানিয়েছে।
বলিভিয়া ডেপুটি পররাষ্ট্রমন্ত্রী ফ্রেডি মামানি এক সংবাদ সম্মেলনে বলেছেন, গাজা উপত্যকায় সংঘটিত আগ্রাসী এবং নির্বিচার সামরিক হামলার নিন্দা ও প্রতিবাদের অংশ হিসেবে ইসরায়েলের সঙ্গে কূটনৈতিক সম্পর্ক ছিন্ন করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে বলিভিয়া।
কলম্বিয়ার প্রেসিডেন্ট গুস্তাভো পেট্রো সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে এক পোস্টে গাজায় হামলাকে ফিলিস্তিনি জনগণের বিরুদ্ধে ‘গণহত্যা’ বলে অভিহিত করেছেন।
শুক্রবার ব্রাজিলের প্রেসিডেন্ট লুইজ ইনাসিও লুলা দা সিলভা বলেছেন, এখন আমরা যা দেখছি তা হল ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রীর পাগলামি, যিনি গাজা উপত্যকাকে নিশ্চিহ্ন করতে চান।
ইসরায়েলের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়কে এসব বিষয়ে তাদের প্রতিক্রিয়া জানতে চাইলে তাৎক্ষণিক কোনো মন্তব্য করেনি তারা।
হামাসের হামলার জবাবে ৭ অক্টোবর গাজায় পাল্টা হামলা শুরু করে ইসরায়েলি বাহিনী। ৩১ অক্টোবর পর্যন্ত গাজায় টানা ২৫ দিনের হামলায় এখন পর্যন্ত ৮ হাজার ৫২৫ জনের মৃত্যু হয়েছে বলে জানিয়েছে স্থানীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়। এর মধ্যে ৩ হাজার ৫৪২ শিশু ও ২ হাজার ১৮৭ জন নারী। নিহত ব্যক্তিদের মধ্যে ১৩০ জন স্বাস্থ্যকর্মীও রয়েছেন।