প্রাণঘাতী করোনা ভাইরাসে মৃতের সংখ্যায় চীনকে পেছনে ফেলেছে ইতালি। একদিনে দেশটিতে ৪২৭ জনের মৃত্যু হওয়ায় দেশটিতে মোট মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৩ হাজার ৪০৫ জনে। যা ভাইরাসটির উৎপত্তিস্থল চীনে মৃত্যুর চেয়ে বেশি। চীনা সরকারের তথ্য অনুসারে, দেশটিতে এখন পর্যন্ত করোনায় আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু হয়েছে ৩ হাজার ২৪৫ জনের। তবে পশ্চিমা সংবাদমাধ্যম চীনে মৃত্যুর সংখ্যার বিশ্বাসযোগ্যতা প্রশ্নবিদ্ধ। ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি এখবর জানিয়েছে।
বিশ্বজুড়ে মহামারীতে পরিণত হওয়া করোনা ভাইরাস মোকাবিলায় ১২ মার্চ থেকে সারা দেশে ইতালি লকডাউন জারি করে। শুরুতে ২৫ মার্চ পর্যন্ত লকডাউন জারি করা হলেও পরে মেয়াদ আরও বাড়ানো হয়েছে। প্রায় সব ইতালীয় নাগরিক ঘরে বন্দি জীবনযাপন করলেও মৃত্যু ও নতুন আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে চলেছে।
আন্তর্জাতিক জরিপ সংস্থা ওয়ার্ল্ড ওমিটারের পরিসংখ্যান অনুযায়ী, এ পর্যন্ত ১৮০টি দেশ ও অঞ্চলে ছড়িয়ে পড়া করোনা ভাইরাসে মৃতের সংখ্যা ১০ হাজার ছাড়িয়েছে। বাংলাদেশ সময় শুক্রবার সকাল সাড়ে দশটা পর্যন্ত মৃতের সংখ্যা ১০ হাজার ৪৬ জন। মোট আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২ লাখ ৪৫ হাজার ৭৮৯ জন। সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন ৮৮ হাজার ৪৪১ জন। বৃহস্পতিবার চীন ঘোষণা দিয়েছে, ভাইরাসটি ছড়িয়ে পড়ার এই প্রথমবারের মতো বুধবার উহানে কোনও নতুন আক্রান্ত ব্যক্তি শনাক্ত করা হয়নি। তবে দেশটিতে বিদেশ ফেলত ৩৪ জন আক্রান্তকে শনাক্ত করা হয়েছে।
চীনে মোট আক্রান্তের সংখ্যা ৮১ হাজার। যা ইতালির চেয়ে প্রায় দ্বিগুণ। ইতালিতে মোট আক্রান্তের সংখ্যা ৪১ হাজার ৩৫।
ইতালির সর্বশেষ পরিস্থিতি
ভাইরাসের বিস্তার ঠেকাতে ইতালি প্রায় সব ধরনের বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠান ও জমায়েত নিষিদ্ধ করা হয় ১২ মাচ। বার, রেস্তোরাঁ ও বেশির ভাগ দোকানপাট এবং স্কুল-কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ ঘোষণা করা হয়। এই লকডাউন মেয়াদ বৃদ্ধি করা হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী জুসেপ্পে কন্টে ঘেঅষণা দিয়েছেন, লকডাউনের কারণে পুরো ব্যবস্থা ভেঙে পড়া থেকে রক্ষা পেয়েছে। তবে মেয়াদ শেষ হওয়ার খুব দ্রুত স্বাভাবিক জীবনযাপনে ফেরত যাওয়া সম্ভব হবে না।
ইতালির স্থানীয় দৈনিক পত্রিকার খবর অনুসারে, আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু হওয়া ২০০৩ জন উত্তরাঞ্চলীয় তিনটি এলাকার। এসব এলাকাতেই ভাইরাসটির প্রাদুর্ভাব সবচেয়ে বেশি।