জম্মু ও কাশ্মির পুলিশের এক সদস্যকে গ্রেফতার করেছে ভারতের পুলিশ। সাহসিকতার জন্য রাষ্ট্রপতি পদক পাওয়া ওই কর্মকর্তার সঙ্গে আটক হয়েছেন কাশ্মিরের স্বাধীনতাপন্থী গোষ্ঠী হিজবুল মুজাহিদিনের দুই সদস্য। পুলিশ সূত্রের বরাত দিয়ে ভারতের সম্প্রচারমাধ্যম এনডিটিভি জানিয়েছে, দিল্লি যাওয়ার পথে শ্রীনগর-জম্মু মহাসড়কের একটি যানবাহন থেকে তাদের আটক করা হয়েছে।
শ্রীনগর আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে কর্মরত ডিএসপি পদমর্যাদার কর্মকর্তা দেবিন্দর সিংয়ের সঙ্গে আটক হওয়ার মধ্যে রয়েছেন ভারতে নিষিদ্ধ ঘোষিত হিজবুল মুজাহিদিনের সদস্য নাভিদ বাবু। বাবুর বিরুদ্ধে গত বছরের অক্টোবর ও নভেম্বরে দক্ষিণ কাশ্মিরে ১১ জন শ্রমিক হত্যার অভিযোগ রয়েছে। এসব শ্রমিকেরা কাশ্মিরের বাসিন্দা নন। আগস্টে কাশ্মিরের বিশেষ মর্যাদা বাতিলের পর সেখানকার আপেল শিল্পকে লক্ষ্য করে ওই ধারাবাহিক হত্যাকান্ড চালানো হয়।
ভারতের পুলিশ জানিয়েছে, নাভিদ বাবুর গতিবিধির ওপর রাখছিলেন তারা। নিজের ভাইকে ফোন করার পর তার অবস্থান শনাক্ত করতে সক্ষম হয় পুলিশ। পরে গাড়ি থামিয়ে আটক করা হয় হিজবুল মুজাহিদিনের সদস্য নাভিদ বাবুকে। তিনি নিজেও আগে পুলিশের বিশেষ কর্মকর্তা ছিলেন। তার সঙ্গে আটক হয় সহযোগী আসিফ এবং ডিএসপি দেবিন্দর সিং। গত বছরের ১৫ আগস্ট সাহসিকতার জন্য রাষ্ট্রপতি পুলিশ পদক পান দেবিন্দর।
দেবিন্দর ও নাভিদ বাবুকে আটকের পর তাদের দেওয়া তথ্যে শ্রীনগর ও দক্ষিণ কাশ্মিরে একাধিক অভিযান চালানোর দাবি করেছে পুলিশ। তাদের দাবি এসব অভিযানে বিপুল পরিমাণ অস্ত্র ও গোলাবারুদ উদ্ধার করা হয়েছে।
দেবিন্দর সিংয়ের বাড়ি শ্রীনগরের বাদামি বাগ ক্যান্টনমেন্ট থেকে একটি একে-৪৭ রাইফেল ও দুটি পিস্তল উদ্ধার করা হয়েছে। এছাড়া নাভিদের স্বীকারোক্তি অনুযায়ী আরও একটি কালাশনিকভ রাইফেল ও পিস্তল উদ্ধার করা হয়েছে।
ভারতীয় পুলিশ জানিয়েছে, পুলিশ কর্মকর্তার সহায়তায় হিজবুল মুজাহিদিন সদস্যরা কেন দিল্লি যেতে চেয়েছিল তা অনুসন্ধানে তদন্ত শুরু হয়েছে। পুলিশ জানিয়েছে, চারদিনের ছুটির আবেদন করা দেবিন্দর সিং শনিবার থেকে কর্মস্থলে অনুপস্থিত রয়েছেন।
২০১৩ সালে ভারতের পার্লামেন্ট ভবনে হামলায় অভিযুক্ত আফজাল গুরুর এক চিঠি প্রকাশ হয়ে পড়লে দেবিন্দর সিংয়ের নাম আলোচনায় আসে। ওই চিঠিতে দাবি করা হয় দিল্লিতে তার থাকার ব্যবস্থা করেছিলেন দেবিন্দর।