বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও) বলছে, গণহারে মাস্ক পরার কারণে বিশ্বজুড়ে এই সুরক্ষা-সরঞ্জামের ব্যাপক সংকট সৃষ্টি হয়েছে। করোনাভাইরাসে আক্রান্ত কিংবা আক্রান্তদের সেবায় নিয়োজিত নন; এমন ব্যক্তিদের মাস্ক পরতে মানা করেছে তারা। সোমবার (২৯ মার্চ) জেনেভায় সংস্থাটির সদর দফতরে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে কর্মকর্তারা বলেন; যাদের সত্যিই মাস্ক দরকার, গণব্যবহারের কারণে সৃষ্ট সংকটে তারা ঝুঁকির মুখে পড়ছেন।
করোনাভাইরাস আতঙ্কে সারা বিশ্বজুড়ে মাস্ক পরার হিড়িক পড়েছে। মার্কিন সংবাদমাধ্যম সিএনএন-এর প্রতিবেদন বলছে, এই মুহূর্তে বিশ্বজুড়ে মাস্কের সংকট নিয়ে উদ্বিগ্ন ডব্লিউএইচও।
সোমবার সংবাদ সম্মেলনে সংস্থার জরুরি স্বাস্থ্য কর্মসূচির নির্বাহী পরিচালক মাইক রায়ান বলেন, ‘গণহারে মাস্ক পরার কারণে বিশ্বজুড়ে এই সরঞ্জামের ব্যাপক সঙ্কট দেখা দিয়েছে। যেসব স্বাস্থ্যকর্মী সামনে থেকে করোনায় আক্রান্ত রোগীদের চিকিৎসায় নিয়োজিত, বর্তমানে তারাই সবচেয়ে বেশি ঝুঁকিতে রয়েছেন। কেননা তারা প্রতিদিন, প্রতি মুহূর্তে ভাইরাসটির সংস্পর্শে আসছেন। তাদের মাস্ক না থাকার বিষয়টি ভয়াবহ।’
আক্রান্ত না হলে মাস্ক পরার প্রয়োজন নেই উল্লেখ করে রায়ান আরও বলেন, ‘গণহারে মাস্ক পরার কারণে কোনও সুবিধা হয়েছে বলে নির্দিষ্টভাবে জানা যায়নি, উল্টে মাস্ক সঠিকভাবে না পরার কারণে হিতে-বিপরীত হওয়ার প্রমাণ মিলেছে।’
সংবাদ সম্মেলনে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার সংক্রামক রোগ বিভাগের বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক মারিয়া ভ্যান কারকোভ বলেন, ‘যাদের সবচেয়ে বেশি প্রয়োজন আমরা তাদের ক্ষেত্রে মাস্ক ব্যবহারের বিষয়টিতে সবচেয়ে গুরুত্ব দিচ্ছি। সাধারণ মানুষকে আমরা ততক্ষণ পর্যন্ত মাস্ক পরার সুপারিশ করব না, যতক্ষণ পর্যন্ত তারা অসুস্থ নয়। কেননা শুধু অসুস্থ হলেই আপনার মাধ্যমে ভাইরাসটি বিস্তার লাভ করবে। আমরা তাদেরকেই মাস্ক পরার সুপারিশ করব যারা অসুস্থ এবং যারা অসুস্থদের চিকিৎসাসেবা দিচ্ছেন। তাদের কাছে যাতে সঠিক সময়ে মাস্ক পৌঁছায় তা নিশ্চিত করাই এই মুহূর্তে আমাদের সবার প্রধান দায়িত্ব ও কর্তব্য হওয়া উচিত।’
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মহাপরিচালক টেডরস অ্যাডানাম গেব্রিয়েসাসও এদিনের সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন।