ভারতের জওহরলাল নেহরু বিশ্ববিদ্যালয়ে (জেএনইউ) সহিংস হামলার ঘটনায় ছাত্র সংসদের সভাপতি ঐশী ঘোষসহ ৯ জনকে অভিযুক্ত করেছে দিল্লি পুলিশ। দিল্লির ওই বিশ্ববিদ্যালয়ে ঐশীর নেতৃত্বেই হামলা হয়েছে উল্লেখ করে শুক্রবার অভিযুক্তদের পরিচয় জানায় পুলিশ প্রশাসন। তবে ৫ জানুয়ারি রবিবার মুখোশ পরে যারা হামলা চালিয়েছিল, সে ব্যাপারে কার্যত মুখ খুলছে না তারা।
গত ৫ জানুয়ারি রবিবার সন্ধ্যায় জেএনইউতে প্রবেশ করে হামলা চালিয়েছে একদল মুখোশধারী। লাঠি ও পাথর হাতে বিশ্ববিদ্যালয়ের চত্বরে ত্রাসের সঞ্চার করে তারা। হামলায় অন্তত ৩৪ জন আহত হয়েছে। এদের মধ্যে ১৯ শিক্ষার্থী ও ৫ জন শিক্ষক। সংবাদমাধ্যমের অনুসন্ধানে দেখা গেছে, ক্ষমতাসীন বিজেপির ছাত্র সংগঠন এবিভিপিই এই হামলা চালিয়েছে।
দিল্লি পুলিশের কমিশনার (ক্রাইম ব্রাঞ্চ) জয় তিরকে বলেন, ‘গত ৫ জানুয়ারি ক্যাম্পাসে ঐশীসহ কয়েকজন হামলা চালিয়েছিলেন।’ ঐশী ছাড়াও চুনচুন কুমার, পঙ্কজ মিশ্র, ওয়াসকর বিজয়, সুচেতা তালুকরাজ, প্রিয়া রঞ্জন, দোলন সাওয়ান্ত, যোগেন্দ্র ভরদ্বাজ ও বিকাশ পটেলের নাম প্রকাশ করেছে পুলিশ।
এ প্রসঙ্গে জেএনইউ ছাত্র সংসদের সভাপতি ঐশী ঘোষ বলেন, ‘আমি কোনও হামলা চালাইনি। জানি না কীসের ভিত্তিতে একথা বলছে দিল্লি পুলিশ। আমি কোনও অন্যায় করিনি। দেশের আইনের প্রতি বিশ্বাস রয়েছে।’
এদিকে গত বৃহস্পতিবার জেএনইউ-তে হামলার প্রতিবাদে রাষ্ট্রপতি ভবনে অভিমুখে অভিযাত্রার সময় শিক্ষার্থীদের ওপর লাঠিচার্জের অভিযোগ ওঠে দিল্লি পুলিশের বিরুদ্ধে। মানবসম্পদ উন্নয়ন মন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠক ‘সন্তোষজনক না হওয়ায়’ রাষ্ট্রপতি ভবন অভিযানের সিদ্ধান্ত নেন শিক্ষার্থীরা।রাষ্ট্রপ্রতি ভবন অভিমুখে জেএনইউর শিক্ষার্থীরা পদযাত্রা শুরু করার পর সন্ধ্যায় পথে তাদের বাধা দেয় দিল্লি পুলিশ।
এনডিটিভির প্রচারিত ভিডিওতে দেখা গেছে, পুলিশের গাড়ি ও ব্যারিকেডের সামনে শিক্ষার্থীরা বিভিন্ন শ্লোগান দিচ্ছেন। সেখানে কিছু শিক্ষার্থী পুলিশের ব্যারিকেড ভাঙার চেষ্টা করছেন। তাদের কয়েক জনকে আটক করে বাসে নিয়ে গেছে।