গত ১৮ মার্চ ভারতের পাঞ্জাবে করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে মারা যান ৭০ বছর বয়সী এক শিখ ধর্মগুরু। মৃত্যুর আগে কমপক্ষে ১০০ মানুষের সংস্পর্শে এসেছিলেন তিনি।
ধারণা করা হচ্ছে রাজ্যটিতে এখন পর্যন্ত যে ৩৩ জনের দেহে করোনা শনাক্ত হয়েছে তার মধ্যে ২৩ জন ওই ব্যক্তির মাধ্যমে সংক্রমিত হয়েছে।
এছাড়া মৃত্যুর আগে ১৫টি গ্রাম সফর করেছিলেন তিনি। এরইমধ্যে সে গ্রামগুলোতেও আতঙ্ক ছড়িয়েছে। ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভি ও দ্য ওয়াল এর প্রতিবেদন থেকে এসব তথ্য জানা গেছে।
গত ৬ মার্চ দু’সপ্তাহের জার্মানি ও ইতালি সফর শেষে দিল্লি ফেরেন করোনায় আক্রান্ত বৃদ্ধ। তারপর শরীর খারাপ নিয়েই ৮-১০ মার্চ যোগ দেন একটি ধর্মীয় অনুষ্ঠানে। সেখানে কয়েকশো লোক উপস্থিত ছিলেন। তারপর ফিরে আসেন ভগৎ সিং নগর জেলায় নিজের বাড়িতে। দিন দুয়েক আশেপাশের গ্রামে ঘোরেন। যান গুরুদুয়ারায়।
পাঞ্জাব প্রশাসনের ধারণা অন্তত ১৫টি গ্রামে ঘুরেছিলেন এই ব্যক্তি। আর সেই ১৫টি গ্রামকে সিল করে দিয়েছে পাঞ্জাব সরকার। বিভিন্ন কোয়ারেন্টিন কেন্দ্রে পাঠানো হয়েছে কয়েকশো গ্রামবাসীকে।
এরইমধ্যে ওই ধর্মগুরুর পরিবারের ১৪জনের করোনা পজিটিভ ধরা পড়েছে। তিনি যেখানে যেখানে গিয়েছিলেন তা আরও নিবিড়ভাবে খতিয়ে দেখছে পাঞ্জাব সরকার।
পাঞ্জাব প্রশাসনের তরফ থেকে বলা হয়েছে, ইউরোপ ঘুরে ওই ধর্মগুরু যখন পাঞ্জাবে ফেরেন তখনও হোম কোয়ারেন্টিন বাধ্যতামূলক হয়নি। ফলে এখানে সেখানে ঘুরে বেরিয়েছিলেন তিনি।