দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার দেশ ফিলিপাইনে শক্তিশালী ভূমিকম্পে ছয় বছর বয়সী এক শিশুসহ অন্তত তিনজনের মৃত্যু হয়েছে। এখনও নিখোঁজ রয়েছেন বেশ কয়েকজন।
রোববার (১৫ ডিসম্বের) দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম দ্বীপ মিন্দানাওয়ে রিখটার স্কেলে ৬ দশমিক ৮ মাত্রার একটি ভূমিকম্প আঘাত হানে। এতে বেশ কিছু ঘরবাড়িসহ বিভিন্ন স্থাপনার ক্ষয়ক্ষতি হয়। সে সময় ঘরের নিচে লোকজনের চাপা পড়ার খবর জানায় আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমগুলো।
ভূমিকম্পের পর প্রাথমিক কোনো হতাহতের খবর না পাওয়া গেলেও কয়েকঘণ্টা ব্যবধানে শিশুসহ তিনজনের খবর পাওয়া গেলো।
আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমগুলো জানিয়েছে, মারা যাওয়া শিশুটি পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে ঘরের মধ্যেই ছিলো। ভূমিকম্পে ঘর ধসে পড়লে অন্যরা বেরিয়ে এলেও শিশুটি চাপা পড়ে মারা যায়।
ফিলিপাইনের অগ্নি নির্বাপন বিভাগের প্রধান নিয়ন্ত্রক স্যামুয়েল তাদিও তিনজন মারা যাওয়ার তথ্য নিশ্চিত করে বলেন, ভূমিকম্পে স্থানীয় একটি বাজারের পাকা ভবনও ধসে পড়েছে।
এদিকে ভূমিকম্পে স্কুল ভবন ধসে পড়ার খবর জানিয়েছেন স্থানীয়রা। তবে শিক্ষার্থীরা দ্রুত বেরিয়ে আসায় সেখানো কোনো প্রাণহানির ঘটনা ঘটেনি।
ভূমিকম্পের সময় প্রেসিডেন্ট রদ্রিগো দুদার্তে দাভাওয়ে তার বাসভবনে অবস্থান করছিলেন। তবে তিনি অক্ষত থাকলেও তার বাসভবনের দেয়ালে ফাটল দেখা দিয়েছে বলে স্থানীয় সংবাদমাধ্যমগুলো জানিয়েছে।
এদিকে ৬ দশমিক ৮ মাত্রার শক্তিশালী ওই ভূমিকম্পের পর একই এলাকায় আরো বেশ কয়েকটি পরাঘাত অনুভূত হওয়ার তথ্য জানিয়েছে মার্কিন ভূ-তাত্ত্বিক জরিপ সংস্থা ইউএসজিএস। যার মধ্যে কয়েকটি ছিলো রিখটার স্কেলে ৫ মাত্রার। তবে ভূমিকম্পের সময় কোনো সুনামি সতর্কতা জারি করা হয়নি।
এর আগে গত অক্টোবরে ফিলিপাইনের মিন্দানাওয়ে ৬ দশমিক ৬ এবং ৬ দশমিক ৫ মাত্রার পরপর দুটি ভূমিকম্পের আঘাতে অন্তত ১৪ জনের মৃত্যু হয়। আহত হন চার শতাধিক মানুষ।