ইরাকের রাজধানী বাগদাদে এক রকেট হামলায় ইরানের বিশেষ বাহিনী রেভ্যুলশনারি গার্ডের কুদস শাখার প্রধান জেনারেল কাসেম সোলাইমানি নিহত হয়েছেন। শুক্রবার বাহিনীটির পক্ষ থেকে এই তথ্য নিশ্চিত করা হয়। হামলায় পপুলার মোবিলাইজেশন ইউনিটস (পিএমইউ) সেকেন্ড-ইন-কমান্ড আবু মাহদি আল-মুহানদিসও নিহত হয়েছেন। বাগদাদের মার্কিন দূতাবাসে আগুন দেওয়ার দুই দিনের মাথায় মার্কিন বাহিনী এই পদক্ষেপ নিলো। দূতাবাসে হামলার ঘটনায় ইরানকে দুষছে ওয়াশিংটন।
ইরানের আঞ্চলিক শক্তি বৃদ্ধির প্রধান কারিগর জেনারেল কাসেমি। তিনি ইরানের বিপ্লবী বাহিনীর সবচেয়ে প্রভাবশালী কমান্ডার। সিরিয়া ও ইরাকে জঙ্গিবাদবিরোধী লড়াইয়ে তার গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রয়েছে। গত অক্টোবরেও তাকে হত্যাচেষ্টা বানচাল করে দেওয়ার দাবি করেছিলো ইরান।
ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসির এক প্রতিবেদনে বলা হয়, বাগদাদ আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে ওই রকেট হামলা চালানো হয়। ওই হামলাতেই সোলেমানিসহ আটজন প্রাণ হারান। এছাড়া ওই হামলায় ইরাকের হাশদ আশ-শাবি বা পপুলার মোবিলাইজেশন ইউনিটস সংক্ষেপে পিএমইউ সেকেন্ড-ইন-কমান্ড আবু মাহদি আল-মুহানদিসও নিহত হয়েছেন।
বিপ্লবী বাহিনীর পক্ষ থেকে দাবি করা হয়, মার্কিন হেলিকপ্টার হামলায় জেনারেল সোলেমানি নিহত হয়েছেন। এছাড়া বেশ কয়েকজন ইরাকিকে আটকও রাখা হয়েছে।
গত ১৫ বছর ধরে মেজর জেনারেল কাসেম সোলাইমানি একজন গুরুত্বপূর্ণ সামরিক কৌশলী হিসেবে তৈরি হয়েছেন। ইরাক ও সিরিয়ায় ক্ষমতা নির্ণয়েও তিনি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছেন। মধ্যপ্রাচ্যে ইরানের উপস্থিতি সুসংহত করতে নেতৃত্ব দিয়েছেন তিনি।
ইরাক ও সিরিয়ায় ইরানপন্থী মিলিশিয়াদের ঘাঁটিতে মার্কিন বিমান হামলার প্রতিবাদে গত মঙ্গলবার (৩১ ডিসেম্বর, ২০১৯) বাগদাদের মার্কিন দূতাবাসে হামলা চালায় বিক্ষোভকারীরা। ভবনের অভ্যর্থনা কক্ষে আগুন দিয়ে তারা দূতাবাসের বাইরে অবস্থান নিয়ে স্লোগান দিতে থাকে। দুই দিন ধরে দূতাবাস কর্মীদের অবরুদ্ধ করে রাখার পর শিয়া মিলিশিয়া নেতাদের নির্দেশে বুধবার সরে যায় তারা। দূতাবাসে হামলার জন্য ইরানকে দায়ী মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেন এজন্য তাদের চড়া মূল্য দিতে হবে। অভিযোগ অস্বীকার করে যুক্তরাষ্ট্রকে পাল্টা হুঁশিয়ারি দেন ইরানের সর্বোচ্চ ধর্মীয় নেতা আয়াতুল্লাহ আলী খামেনি।