যুক্তরাষ্ট্রে ‘মুসলিম নিষেধাজ্ঞা’র পরিধি বাড়াচ্ছেন ট্রাম্প

যুক্তরাষ্ট্রের মুসলিম  নিষেধাজ্ঞার পরিধি ও মেয়াদ বাড়াচ্ছে ট্রাম্প প্রশাসন। ‍দুই বছর আগে লিবিয়া, ইরান, সোমালিয়া, সিরিয়া, ইয়েমেন, উত্তর কোরিয়া ও ভেনেজুয়েলার নাগরিকদের ওপর ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞা জারি করেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প।  তিনি জানিয়েছেন আরও নতুন কোনও দেশ যুক্ত হতে পারে তালিকায়।

ট্রাম্পের ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞায় সাত মুসলিম প্রধান দেশ ইরান, লিবিয়া. সিরিয়া, ইয়েমেন, সোমালিয়া ও চাদের সঙ্গে উত্তর কোরিয়ার নাগরিকরা যুক্তরাষ্ট্রে ভ্রমণ করতে পারবেন না। নিষেধাজ্ঞার আওতায় রয়েছেন ভেনেজুয়েলার সরকারি কর্মকর্তারাও। এর আগে ৬টি মুসলিম প্রধান দেশের নাগরিকদের উপর এই নিষেধাজ্ঞা জারি করা হলেও সুপ্রিমকোর্ট বাধা দেয়। ইরান, লিবিয়া, ইয়েমেন, সিরিয়া ও সোমালিয়ার নাগরিকদের উপর ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞা জারি করেছিলো ট্রাম্প প্রশাসন। দেশগুলো মুসলিম প্রধান হওয়ায় এই পদক্ষেপকে ‘মুসলিম নিষেধাজ্ঞা’ বলা হচ্ছিলো। তবে নতুন তিনটি দেশ যুক্ত হওয়ায় এই নিষেধাজ্ঞা ধারা পাল্টায়নি বলে মনে করে সংশ্লিষ্ট গ্রুপগুলো।

ডোনাল্ড ট্রাম্প জানান, ‘নতুন আরও কিছু দেশের নাম তালিকায় যুক্ত হবে। সুইজারল্যন্ডের দাভোসে চলমান বিশ্ব অর্থনৈতিক সম্মেলনে তিনি বলেন, আপনারা দেখতেই পাচ্ছেন যে পৃথিবীতে কি চলছে। আমাদের দেশকে আমাদের নিরাপদ রাখতে হবে।’ তবে কোন দেশের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ হতে পারে সে সম্পর্কে কিছু জানাননি তিনি।

মার্কিন সংবাদমাধ্যম পলিটিকোর এক প্রতিবেদনে বলা হয়, বেলারুস, মিয়ানমার, এরিত্রিয়া, কিরগিস্তান, নাইজেরিয়া, সুদান ও তানজানিয়াকে এই তালিকাভুক্ত করা হতে পারে।

এর আগে ২০১৭ সালের জানুয়ারিতে দায়িত্ব নেওয়ার এক সপ্তাহের মধ্যেই ট্রাম্প এবিষয়ে প্রথম পদক্ষেপ নেন। দুই দফা ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞা জারির পর আদালতের বাধার মুখে পড়েন ট্রাম্প।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *