আফগান তালেবান ও যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যকার বহুল প্রতিক্ষিত শান্তি চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়েছে। শনিবার রাতে কাতারের রাজধানী দোহায় এই চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়েছে। এর আগে কাবুলে যুক্তরাষ্ট্র ও আফগান কর্মকর্তাদের এক যৌথ ঘোষণায় বলা হয়, চুক্তি অনুযায়ী তালেবান বিদ্রোহীরা তাদের সব প্রতিশ্রুতি রক্ষা করলে আগামী ১৪ মাসের মধ্যে দেশটি থেকে সব সেনা প্রত্যাহার করে নেবে যুক্তরাষ্ট্র ও তার ন্যাটো মিত্ররা। ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি এই খবর জানিয়েছে।
দীর্ঘ ১৮ বছরের যুদ্ধের ইতি টানতে শান্তিচুক্তির লক্ষ্যে সম্প্রতি সহিংসতা কমিয়ে আনতে সম্মত হয় তালেবান ও যুক্তরাষ্ট্র। এক সপ্তাহের ওই সাময়িক যুদ্ধবিরতি সফলভাবে শেষ হলে ২৯ ফেব্রুয়ারি চূড়ান্ত চুক্তি স্বাক্ষরিত হতে পারে বলে তখন ঘোষণা দেওয়া হয়।
শনিবার কাবুলে আফগান ও মার্কিন কর্মকর্তাদের যৌথ ঘোষণায় বলা হয়, এই যৌথ ঘোষণা এবং যুক্তরাষ্ট্র-তালেবান শান্তি চুক্তি অনুযায়ী জোট বাহিনী আগামী ১৪ মাসের মধ্যে অবশিষ্ট সেনা প্রত্যাহার করে নেবে…তবে তা তালেবানদের প্রতিশ্রুতি রক্ষার ওপর নির্ভর করবে।
২০০১ সালে ৯/১১ হামলার পর আল কায়েদাকে উৎখাতে আফগানিস্তানে আগ্রাসন শুরু করে যুক্তরাষ্ট্র। এই যুদ্ধে দুই হাজার চারশোরও বেশি মার্কিন সেনা নিহত হয়েছে। দেশটিতে এখনও প্রায় ১২ হাজার সেনা রয়েছে। প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প আফগান সংঘাত বন্ধের প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন।
শনিবার কাতারে চুক্তি স্বাক্ষরের সময় মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মাইক পম্পেও এবং তালেবান নেতারা উপস্থিত ছিলেন। চুক্তি অনুযায়ী বিদেশি সেনা প্রত্যাহারের বিনিময়ে তালেবান বিদ্রোহীরা আফগানিস্তানকে আল কায়েদা বা অন্য কোনও গোষ্ঠীকে তাদের ভূমিতে কার্যক্রম চালাতে দেবে না।
তালেবানদের সঙ্গে চুক্তি স্বাক্ষরের পর আফগান জনগণকে নতুন ভবিষ্যতের সুযোগ গ্রহণের আহ্বান জানিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। তিনি বলেন, ‘তালেবান এবং আফগান সরকার যদি এসব প্রতিশ্রুতি রক্ষা করে তাহলে আমরা আফগানিস্তানের যুদ্ধ শেষ করা এবং সেনাদের বাড়ি ফিরিয়ে আনার বড় একটি সুযোগ পাবো’।