চট্টগ্রাম: জেলা প্রশাসক আবুল বাসার মোহাম্মদ ফখরুজ্জামান বলেছেন, সকল ধরনের সাপ্লাই চেইন ঠিক রাখতে হবে। এক্ষেত্রে জেলায় সমন্বয় করে ঢাকামুখী পণ্যবাহী যানবাহন একসঙ্গে জড়ো করে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সহায়তায় জেলা টু জেলায় নিরাপদ পরিবহন নিশ্চিত করা হচ্ছে।
ইতোমধ্যেই নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট, পুলিশ ও বিজিবি এ কাজে নিয়োজিত।
রোববার (১২ নভেম্বর) সকালে চট্টগ্রাম সার্কিট হাউজে জেলা আইনশৃঙ্খলা কমিটির সভায় চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসক আবুল বাসার মোহাম্মদ ফখরুজ্জামানের সভাপতিত্বে সিএমপি, জেলা পুলিশ, র্যাব, কোস্টগার্ড, মাদক দ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর, বিআরটিএ, বিজিবির উপস্থিতিতে এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
জেলা প্রশাসক বলেন, সরকারি মাদকাসক্ত নিরাময় কেন্দ্র উন্নত করার প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য ডিডি মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণকে প্রস্তাবাকারে পত্র প্রেরণের জন্য বলা হয়। জেলা আইন-শৃঙ্খলা কমিটির সদস্যদেরও টিম আকারে নিরাময় কেন্দ্রসমূহ পরিদর্শন করার উপর গুরুত্বারোপ করা হয়।
বাঁশখালী ও সন্দ্বীপের সাগর উপকুলীয় নদীপথ ব্যবহার করে মাদক পাচারের বিষয়ে সংশ্লিষ্ট প্রশাসন ও আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীকে সজাগ থাকতে হবে।
তিনি বলেন, নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যের উর্ধগতি রোধে সংশ্লিষ্ট আমদানীকারক এখন থেকে সকল আমদানীকৃত পণ্যের মূল্যের তথ্য এবং কোন জায়গায় পণ্যগুলো সরবরাহ করা হয়েছে, তা ড্যাশবোর্ডে উপস্থাপনের ব্যবস্থা করবেন।
যা বাজার মনিটরিং এ সহায়ক হবে। চেম্বারের সহায়তায় আমদানিকারক ও মিল মালিকদের থেকে কি পরিমাণ পণ্য সরবরাহ হচ্ছে তা সমন্বয় করার জন্য মিটিং করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে হবে।
বিআরটিএ নিয়ে জেলা প্রশাসক বলেন, সড়কের পার্শ্বে মালিকবিহীনভাবে গাড়ি রাখা বা পার্কিং করে রাখা রোধকল্পে ব্যবস্থা নিতে হবে। বিআরটিএ কর্তৃক এ জাতীয় গাড়ি এবং রেজিস্ট্রেশনবিহীন গাড়ীর বিরুদ্ধে মোবাইল কোর্ট কার্যক্রম বৃদ্ধি করে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা করা হবে।
হাটহাজারী, পটিয়া এলাকায় রেজিস্ট্রেশনবিহীন গাড়ির রেজিস্ট্রেশন প্রদানের সুবিধার্থে প্রতি মাসে ২ থেকে ৩ দিন ক্যাম্প করে রেজিস্ট্রেশনের ব্যবস্থা নিতে হবে।
হাটহাজারী, রাউজান, ফটিকছড়ি রোডে যানজট নিরসনে সংশ্লিষ্ট উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ও সহকারী কমিশনারদের (ভূমি) আগের চেয়ে বেশি মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করার নির্দেশনা দেন।
মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা কর্তৃক সমাজসেবা পরিচালিত সেফহোম নিয়মিত পরিদর্শন করে অবস্থানরদের খোঁজ খবর নিতে হবে।
বিজিবির অধিনায়ক বলেন, মাদক উদ্ধার কার্যক্রমে বিজিবি কাজ করছে। সীমান্ত এলাকা দিয়ে মাদক আসে বিধায় সীমান্তে তাদের তৎপরতা জোরদার করা হয়েছে। ভবঘুরে মাদকাসক্ত ব্যক্তিকে সরকারী মাদকাসক্ত নিরাময় কেন্দ্রে চিকিৎসা দেওয়ার প্রয়োজনীয়তা রয়েছে। অস্ত্র উদ্ধারের বিরুদ্ধে অভিযানও অব্যাহত আছে। মাদক উদ্ধার, অস্ত্র উদ্ধার এবং চোরাচালান বিষয়ে সফলতার জন্য প্রতিবছর স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় কর্তৃক জেলা পুলিশকে পুরস্কৃত করা হয়। মাদক প্রতিরোধে সংশ্লিষ্ট জনপ্রতিনিধি, ইমাম, শিক্ষক, পুরোহিতসহ সকলকে একসঙ্গে কাজ করতে হবে। মাদকের সঙ্গে জড়িত সকলকে সামাজিকভাবে ঘৃণা করতে হবে।
সিভিল সার্জন বলেন, মাদকাসক্ত নিরাময় কেন্দ্রের সিভির সার্জনের সম্পৃক্ততা নেই, তবে এ জাতীয় রোগী আসলে তাদেরকে চিকিৎসা সেবা দেওয়া হয়।