চট্টগ্রাম: ভোর থেকে বঙ্গবন্ধু টানেলে বাস চলাচল শুরু হয়েছে। সকাল ৮টা পর্যন্ত দুই ঘণ্টায় ১২১টি ছোট-বড় গাড়ি টানেল ব্যবহার করেছে।
রোববার (২৯ অক্টোবর) ভোর ৬টা থেকে যান চলাচল শুরু হয়।
পতেঙ্গা প্রান্তে ভোর ছয়টার দিকে টোল দেন দুলাল সিকদার।
প্রথম যাত্রীবাহী বাস হিসেবে টোল দেয় বিডি বাস লাভার গ্রুপের একটি বাস। আনোয়ারা প্রান্তে ভোর ছয়টায় প্রথম যাত্রী হিসেবে টোল দেন মুন্সিগঞ্জের ব্যবসায়ী জুয়েল রানা।
এরপর টোল দেন সাতকানিয়ার চালক শফিক আলম।
টানেলে প্রবেশের জন্য উভয় প্রান্তে অপেক্ষায় ছিল প্রায় শতাধিক গাড়ি।
তবে পতেঙ্গা প্রান্তের চেয়ে আনোয়ারা প্রান্তে গাড়ির চাপ বেশি বলে জানা গেছে।
টানেল খুলে দেওয়ার পর ৬টা থেকে ৭টা পর্যন্ত ১ ঘন্টায় ৭২টি গাড়ি চলাচল করে। আর এতে টোল আদায় হয় ১৯ হাজার ৫০ টাকা। পরের এক ঘণ্টায় ৭টা থেকে ৮টা পর্যন্ত ৪৯টি গাড়ি অতিক্রম করে। এতে টোল আসে ১১ হাজার ২০০ টাকা। সবমিলিয়ে প্রথম দুই ঘণ্টায় ১২১টি গাড়ি থেকে ৩০ হাজার ৫০০ টাকার টোল আদায় হয়েছে।
বেলায়েত হোসেন নামে এক টোল ম্যানেজার জানান, সকাল থেকে যান চলাচলের জন্য খুলে দেওয়া হয় টানেল। প্রথম এক ঘণ্টায় একটু বেশি যানবাহন ছিল। বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে যান চলাচল বাড়তে পারে।
এর আগে টানেল পারাপারের জন্য টোল নির্ধারণ করে দেয় সরকার। সেতু বিভাগের প্রজ্ঞাপন অনুযায়ী, জিপ বা পিকআপের জন্য ২০০ টাকা এবং মাইক্রোবাসের জন্য টোল ২৫০ টাকা। বাসের ৩১ আসন বা এর কম হলে টোল ৩০০ টাকা, ৩২ আসন বা তার বেশি হলে ৪০০ টাকা এবং ৩-এক্সেল বাসের জন্য টোল ৫০০ টাকা। ট্রাক-৫ টন পর্যন্ত ৪০০ টাকা, ৮ টন পর্যন্ত ৫০০ টাকা এবং ৮ থেকে ১১ টনের ট্রাকের টোল ৬০০ টাকা। মালবাহী ৩ এক্সেল ট্রেলারের টোল ৮০০ টাকা, ৪ এক্সেল ট্রেলারে ১ হাজার টাকা এবং ৪ এক্সেলের বেশি প্রতি এক্সেলের জন্য ১ হাজারের সঙ্গে ২০০ টাকা যোগ করে টোল দিতে হবে বলে প্রজ্ঞাপনে জানানো হয়েছে।
টানেল প্রকল্পের উপপ্রকল্প পরিচালক মো. আবুল কালাম আজাদ জানিয়েছেন, ভোর ৬টায় যান চলাচলের জন্য টানেল খুলে দিয়েছি। এখন থেকে রাত-দিন ২৪ ঘণ্টা টানেল চালু থাকবে। গভীর রাতে যান চলাচল কমে গেলে টোলের লেন কমিয়ে আনা হবে।
শনিবার (২৮ অক্টোবর) বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান টানেল পার হয় প্রধানমন্ত্রীর বহরে ২১টি গাড়ি। এর মধ্যে নিজের গাড়ির জন্য ২০০ টাকা এবং বহরের ২০টি গাড়ির জন্য ৪ হাজার টাকা টোল দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।