ফৌজদারহাটের বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব ট্রপিক্যাল অ্যান্ড ইনফেকশাস ডিজিজে (বিআইটিআইডি) নমুনা পরীক্ষায় আরও ৬ জনের শরীরে করোনা ভাইরাস শনাক্ত করা হয়েছে।
এর মধ্যে ৫ জনের বাড়ি চট্টগ্রামে। অন্যজন লক্ষ্মীপুরের বাসিন্দা। এ নিয়ে চট্টগ্রামে এখন করোনা রোগীর সংখ্যা দাঁড়ালো ১৪-এ। অন্যদিকে বিআইটিআইডিতে পরীক্ষা করা লক্ষ্মীপুরের করোনা রোগী পাওয়া গেলো ২ জন।
রোববার (১২ এপ্রিল) রাতে চট্টগ্রামের সিভিল সার্জন ডা. সেখ ফজলে রাব্বি এসব তথ্য জানান।
তিনি বলেন, গত চব্বিশ ঘণ্টায় বিআইটিআইডিতে আরও ৬ জনের শরীরে করোনা ভাইরাস শনাক্ত করা হয়েছে। এর মধ্যে ৫ জনের বাড়ি চট্টগ্রামে। অন্যজন লক্ষ্মীপুরের।
সিভিল সার্জন বলেন, গত ২৪ ঘণ্টায় মোট ৯৬ জনের নমুনা পরীক্ষা করা হয়। সব মিলিয়ে এখন পর্যন্ত মোট ৬৮২ জনের নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে বিআইটিআইডিতে।
৩ এপ্রিল চট্টগ্রামের দামপাড়ায় ৬৭ বছর বয়সী এক ব্যক্তির শরীরে প্রথম করোনা ভাইরাস ধরা পড়ে। ৫ এপ্রিল ওই ব্যক্তির ২৫ বছর বয়সী ছেলের শরীরেও করোনা ভাইরাস শনাক্ত করা হয়।
৮ এপ্রিল আরও তিন জনের শরীরে করোনা ভাইরাস শনাক্তের খবর দেন চট্টগ্রামের স্বাস্থ্য পরিচালক ডা. হাসান শাহরিয়ার কবির। তারা নগরের সাগরিকা, হালিশহর ও সীতাকুন্ড এলাকার বাসিন্দা।
১০ এপ্রিল চট্টগ্রামে আরও ২ জনের শরীরে করোনা ভাইরাস শনাক্ত করা হয় বলে জানান চট্টগ্রামের স্বাস্থ্য পরিচালক ডা. হাসান শাহরিয়ার কবির। তাদের একজনের বাড়ি নগরের ফিরিঙ্গি বাজার এলাকায়। অন্যজনের বাড়ি আকবর শাহ থানার ইস্পাহানি চত্ত্বরের গোলপাহাড় এলাকায়।
১১ এপ্রিল বিআইটিআইডিতে নমুনা পরীক্ষায় আরও তিন জনের শরীরে করোনা ভাইরাস শনাক্তের কথা জানানো হয়। এরমধ্যে দুই জনের বাড়ি চট্টগ্রামে। অন্যজন লক্ষ্মীপুরের বাসিন্দা।
চট্টগ্রামের ২ জনের মধ্যে একজন সাতকানিয়ার। তিনি ৯ এপ্রিল চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে আসার সময় মারা যান। অন্যজন নগরের পাহাড়তলীর সিডিএ মার্কেট এলাকার।
আগের ৭ জনের সঙ্গে নতুন ২ জন যুক্ত হওয়ায় ১১ এপ্রিল পর্যন্ত চট্টগ্রামে করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা ছিলো ৯ জন। এর মধ্যে করোনা ভাইরাস শনাক্তের আগেই একজন মারা যান। অন্য ৮ জন চিকিৎসা নিচ্ছিলেন।
সর্বশেষ ১২ এপ্রিল চট্টগ্রামের ৫ জনসহ মোট ৬ জনের শরীরে করোনা ভাইরাস শনাক্ত করা হয় বিআইটিআইডিতে নমুনা পরীক্ষায়। এ নিয়ে আগের ৯জন সহ চট্টগ্রামে এখন করোনা রোগীর সংখ্যা ১৪ জন। এর মধ্যে ১৩ জন চিকিৎসা নিচ্ছেন।