সাম্প্রতিক সময়ে মহামারীতে রূপ নেওয়া করোনাভাইরাস আক্রান্ত রোগীদের চিকিৎসায় চট্টগ্রামে ফিল্ড হাসপাতাল গড়তে উদ্যোগ নিয়েছেন বিদ্যুত বড়ুয়া নামের এক চিকিৎসক।
নিজের ফেসবুক পেইজে তিনি লিখেছেন, ৭১ এর যুদ্ধে যখন দেশ স্বাধীন করতে গিয়েছিল সবাই, অস্ত্র চালানো দূরের কথা-অস্ত্রও ৩ ফুট কাছ থেকে দেখেনি কোনদিন। কিন্তু কেউ সম্মুখ সমরে জীবন বাজি রেখে যুদ্ধ করেছে আবার কেউ সহযোগী হিসেবে বিভিন্ন রসদ জুগিয়েছে। সম্মুখ সমরে যারা তারা মুক্তিযোদ্ধা হলে পাশাপাশি অন্যরা সহযোগী মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে চিরস্মরণীয়।
‘তেমনি করোনা হাসপাতাল নির্মাণের পথে যারা লাইক, কমেন্টস ও শেয়ার দিয়ে আমাদের উৎসাহ দিয়ে যাচ্ছেন, সবাই করোনা হাসপাতাল নির্মাণের সহযোগী সৈনিক। আমাদের হাসপাতাল ফিল্ড হাসপাতাল। মানবিক হয়ে পাশে থাকুন’।
ডা. বিদ্যুৎ বড়ুয়া জানান, চট্টগ্রাম একজন করোনা পজিটিভ বিষয়টি অনেক চিন্তার। একজন করোনা পজিটিভ রোগী টেস্টে নিশ্চিত হওয়ার আগে কতজনকে সংক্রমিত করেছে তা কখনো জানা যাবে না। যারা সংক্রমিত হয়েছে তারা আরো কয়জনকে সংক্রমিত করছে প্রতিনিয়ত, কারণ ওরা তো জানে না তারা করোনা ভাইরাস বয়ে বেড়াচ্ছে। কেননা ওরা করোনা টেস্ট করার মতো এখনো লক্ষণ প্রকাশ করেনি। এভাবেই সংখ্যাটা বাড়বে। ইচ্ছে হচ্ছে রাতদিন ২৪ ঘণ্টা কাজ করে ফিল্ড হাসপাতালটা তৈরি করি। এই সপ্তাহে অনেক অনেক কাজ করে এগিয়ে নিতে হবে। শুরু হচ্ছে ফান্ড রাইজিং।
জানা গেছে, ফৌজদারহাটের সলিমপুরে নাভানা গ্রুপের সহায়তায় ‘চট্টগ্রাম ফিল্ড হাসপাতাল’ গড়ে তোলা হচ্ছে। প্রতিষ্ঠানটির আফতাব অটোমোবাইলস লিমিটেড কারখানার ভেতরে ৬ হাজার ৮০০ বর্গফুটের দ্বিতল ভবনে ৫০-৬০ শয্যার অস্থায়ী হাসপাতাল গড়ে তোলা হচ্ছে। চট্টগ্রাম বিভাগীয় স্বাস্থ্য পরিচালক ওই স্থান পরিদর্শন করে হাসপাতাল নির্মাণে অনুমতি দিয়েছেন।
প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ সহকারী ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়ার ছোট ভাই জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ ডা. বিদ্যুত বড়ুয়া লোহাগাড়ার সন্তান। দীর্ঘদিন তিনি প্রবাসে ছিলেন, আন্তর্জাতিকমানের হাসপাতালে চিকিৎসক হিসেবে কাজ করেছেন।
ডা. বিদ্যুত বড়ুয়া বলেন, মানুষের কাছ থেকে ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র অনুদান নিয়েই ‘চট্টগ্রাম ফিল্ড হাসপাতাল’ গড়ে উঠবে। সবার জন্যই এই হাসপাতাল। শুধু করোনা আক্রান্ত রোগী নয়, ভবিষ্যতে সব ধরনের রোগীদেরও চিকিৎসা দেওয়া হবে এখানে। হাসপাতালে আইসিইউ ও ভেন্টিলেশনের ব্যবস্থা রাখা হবে। নাভানা গ্রুপ এই মানবিক কাজে এগিয়ে এসেছে।