নগরের বন্দর থানার মাইলের মাথা এলাকায় ডাক্তারের সই জাল করে ডায়াগনিস্টিক রিপোর্ট প্রদানের দায়ে নিউ চাঁদের আলো ডায়াগনিস্টিক সেন্টারকে দেড় লাখ টাকা জরিমানা করেছেন ভ্রাম্যমাণ আদালত।
অন্যদিকে ইপিজেড থানার ইশা খাঁ গেইট এলাকায় অভিযান চালিয়ে লাইসেন্সবিহীন ডায়াগনস্টিক সেন্টার পরিচালনার দায়ে হলি কেয়ার নার্সিং হোম অ্যান্ড ডায়াগনস্টিক সেন্টারকে ১ লাখ টাকা জরিমানা করা হয়। বন্ধ করে দেওয়া হয় নার্সিং হোমটি।
বৃহস্পতিবার (৩০ জানুয়ারি) দুপুরে পরিচালিত ভ্রাম্যমাণ আদালতের এসব অভিযানে নেতৃত্ব দেন জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. উমর ফারুক। অংশ নেন সিভিল সার্জন কার্যালয়ের প্রতিনিধি ডা. ওয়াজেদ চৌধুরী, ওষুধ প্রশাসন অধিদপ্তরের ওষুধ তত্ত্বাবধায়ক হোসাইন মোহাম্মদ ইমরান।
ম্যাজিস্ট্রেট মো. উমর ফারুক জানান, নিউ চাঁদের আলো ডায়াগনস্টিক সেন্টারে ডা. জসিম উদ্দীনের সই স্ক্যান করে ডায়াগনস্টিক রিপোর্ট ডেলিভারি দেয়া হচ্ছিলো। এ বিষয়ে ডা. জসিম উদ্দীনের সঙ্গে ফোনে কথা বললে তিনি সই স্ক্যান করার বিষয়ে কিছুই জানেন না বলে জানান।
‘ডাক্তারের সই জাল করে ডায়াগনিস্টিক রিপোর্ট প্রদানের দায়ে নিউ চাঁদের আলো ডায়াগনিস্টিক সেন্টারকে ভোক্তা অধিকার আইনে দেড় লাখ টাকা জরিমানা করা হয়।’
ম্যাজিস্ট্রেট জানান, লাইসেন্সবিহীন ডায়াগনস্টিক সেন্টারের মাধ্যমে পরীক্ষা-নিরীক্ষা, অপারেশন থিয়েটারের প্রতিকূল পরিবেশ, অপর্যাপ্ত জনবল, ভুয়া ডাক্তার ও টেকনোলজিস্ট দিয়ে প্রতিষ্ঠান চালানোর কারণে হলি কেয়ার নার্সিং হোম অ্যান্ড ডায়াগনস্টিক সেন্টারকে ১ লাখ টাকা জরিমানা করা হয়। নার্সিং হোমটি বন্ধ করে দেওয়া হয়।
জেলা প্রশাসক মো. ইলিয়াস হোসেনের নির্দেশে নগরবাসীর স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করতে এ ধরনের অভিযান অব্যাহত থাকবে বলে জানান জেলা প্রশাসনের এ কর্মকর্তা।