চট্টগ্রাম নগরে ডেঙ্গু মশার বিস্তাররোধে সিটি করপোরেশনের পক্ষ থেকে সব ধরণের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে বলে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে জানিয়েছেন সিটি মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দীন।
মঙ্গলবার (৭ এপ্রিল) সকালে করোনা পরিস্থিতি নিয়ে গণভবন থেকে চট্টগ্রামের জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের সঙ্গে ভিডিও কনফারেন্সে সংযুক্ত হয়ে চট্টগ্রামের ডেঙ্গু পরিস্থিতি নিয়ে প্রধানমন্ত্রীর প্রশ্নের উত্তরে মেয়র এ কথা জানান।
আ জ ম নাছির উদ্দীন বলেন, ‘মাননীয় প্রধানমন্ত্রী আপনাকে আশ্বস্ত করছি, গত বছর দেশে ডেঙ্গু রোগের প্রাদুর্ভাব ছিলো। কিন্তু আল্লাহ রাব্বুল আলামীনের দয়ায় এবং আমরা যথাযথ পরিকল্পনা ও পদক্ষেপ গ্রহণ করার কারণে চট্টগ্রামে সেটি হয়নি।
তিনি বলেন, এ বছরও আমরা আপনাকে নিশ্চিত করে বলতে পারি- অলরেডি আমি মিটিং করেছি, সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে সরাসরি কথা বলেছি, মশক নিধনে ৩ দিন আগে থেকে ওষুধ ছিটাচ্ছি। আগামী ১০ দিনের মধ্যেই এটা সহনীয় পর্যায়ে চলে আসবে।
‘আমরা আপনাকে আশ্বস্ত করছি, আল্লাহ রাব্বুল আলামীনের অশেষ দয়ায় এবং আমাদের পরিচ্ছন্ন কর্মীদের সহায়তায় আমরা চট্টগ্রামকে ডেঙ্গুমুক্ত রাখবো।
করোনার বিষয়ে আ জ ম নাছির উদ্দীন বলেন, চট্টগ্রামে বিভাগীয় প্রশাসন, জেলা প্রশাসন, পুলিশ- সবার সঙ্গে সমন্বয়ের মাধ্যমে আমরা আমাদের দায়িত্বগুলো যথাযথভাবে পালন করার চেষ্টা করছি। টাইম টু টাইম আপনার নির্দেশনা, সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনা এবং স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনা সবার সঙ্গে সমন্বয় করে করোনা ভাইরাস থেকে চট্টগ্রামবাসীকে রক্ষায় আন্তরিকভাবে কাজ করছি।
তিনি বলেন, চট্টগ্রামের ৪১ টি ওয়ার্ডে আমাদের যে আরবান হেলথ সেন্টারগুলো আছে সেখানে ১৫৬ জন ডাক্তার আছেন। তাদের আমি আগে থেকে নির্দেশ দিয়েছি- সবাই যেন আরবান সেন্টারে উপস্থিত থাকে। সেবা নিতে আসা রোগীদের সেবা দেয়। একটি কন্ট্রোল রুম চালু করেছি। সেখানে ২৪ ঘণ্টা ডাক্তররা আছেন। টেলিফোনের মাধ্যমে সেখান থেকেও চিকিৎসা সেবা দেওয়া হচ্ছে।
ভিডিও কনফারেন্সে শিক্ষা উপমন্ত্রী ব্যরিস্টার মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল বলেন, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী আপনাকে বিশেষভাবে ধন্যবাদ। আপনি বিশেষ উদ্যোগ নিয়ে, বিশেষ প্রশিক্ষণ দিয়ে, অত্যন্ত দ্রততার সঙ্গে জরুরি উপকরণসহ বিআইটিআইডিতে করোনা টেস্ট এর ব্যবস্থা করেছেন।
তিনি বলেন, ১২ আউলিয়ার পণ্যভূমি চট্টগ্রামে প্রশাসন, বিত্তশালী, রাজনৈতিক নেতা এবং আমাদের দলের নেতা-কর্মীরা অসহায় মানুষের কাছে ত্রাণ পৌঁছে দিচ্ছেন। সিটি করপোরেশন, জেলা প্রশাসন সবাই সমন্বয় করে কাজ করছে। সব কাজ সুন্দরভাবে সম্পন্ন হচ্ছে।
নওফেল বলেন, চট্টগ্রামে যে দুইজন করোনার পেশেন্ট রয়েছেন, তারা আমার সংসদীয় আসনের। তাদের সঙ্গে সম্পৃক্ত ৫টি জায়গা ইতোমধ্যে লকডাউন করা হয়েছে। আমরা আশা করছি, চট্টগ্রামে আর করোনা রোগী আমরা পাবো না। আমরা সবাই সমন্বিতভাবে কাজ করছি। আমরা সবাই আপনার নেতৃত্বে বাংলাদেশে করোনা ঝুঁকি মোকাবিলা করবো।
জেলা প্রশাসক মো. ইলিয়াস হোসেনের সঞ্চালনায় ভিডিও কনফারেন্সে আরও বক্তব্য দেন সেনাবাহিনীর প্রতিনিধি বিগ্রেডিয়ার জেনারেল আজাদ, চট্টগ্রামের পুলিশ সুপার এসএম রশিদুল হক।