সারাদেশে পণ্য পৌঁছে দিয়ে ১০ দিনে রেলওয়ে আয় করেছে প্রায় ৪ কোটি টাকা। এরমধ্যে ২৪ থেকে ২৮ মার্চ ৪ দিনে আয় করেছে ২ কোটি আর ২৮ মার্চ থেকে ৩ এপ্রিল পর্যন্ত ৬ দিনে আয় হয়েছে ১ কোটি ৮০ লাখ টাকা।
করোনা ভাইরাসের কারণে সারাদেশে ছুটির মধ্যে মধ্যে গত ২৪ মার্চ থেকে সারাদেশে যাত্রীবাহী ট্রেন চলাচল বন্ধ রাখে রেলপথ মন্ত্রণালয়। যাত্রীবাহী ট্রেন বন্ধ থাকায় মালবাহী ট্রেন চলাচলে গতি পায়। আগে যেখানে ৪টি মালবাহী ট্রেন চলাচল করতো সেখানে ২৪ মার্চ থেকে ৬টি ট্রেন চলাচল করে।
চট্টগ্রাম বন্দর থেকে খালাস হওয়া তেল, কন্টেইনারের বিভিন্ন খাদ্য সামগ্রীর এসব ট্রেন সারাদেশে পৌঁছে দিয়ে ১০ দিনে এ আয় করে রেলওয়ে পূর্বাঞ্চল।
রেলওয়ের পরিবহন বিভাগ সূত্র জানায়, একটি মালবাহী ট্রেন থেকে রেলের আয় হয় ১০ লাখ টাকা। ২৪ মার্চ থেকে ২৮ মার্চ পর্যন্ত রেলওয়ে পূর্বাঞ্চল ৫ থেকে ৬টি ট্রেন চালায়। এরমধ্যে তেল ও বিভিন্ন খাদ্য সামগ্রী পরিবহনে তিনটি, বাকি তিনটি কন্টেইনার বহন করতো।
কিন্তু ২৮ মার্চ থেকে ঢাকার কমলাপুর ইনল্যান্ড কন্টেইনার ডিপোতে (আইসিডি) কন্টেইনারের স্থান সংকুলান না হওয়ার কারণে চট্টগ্রাম বন্দর থেকে কন্টেইনারবাহী ট্রেন চলাচল প্রায় বন্ধ হয়ে যায়। যেখানে প্রতিদিন ৩ থেকে ৪টি কন্টেইনারবাহী ট্রেন চলাচল করতো সেখানে এখন মাত্র একটি ট্রেন কন্টেইনার পরিবহন করছে।
ঢাকা আইসিডি কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, সেখানে কন্টেইনার রাখার জায়গা নেই। তারা কন্টেইনার রাখতে পারছে না। তাই পরবর্তী নির্দেশনা না পাওয়া পর্যন্ত তা বন্ধ থাকবে।
তবে তেল, গম, চাল ও অন্যান্য পণ্য নিয়ে তিনটি ট্রেন সিলেট, শ্রীমঙ্গল, তেজগাঁও, ঢাকা ক্যান্টনমেন্ট, বগুড়া, রংপুর অভিমুখে চলাচল করছে।
চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের সচিব মো. ওমর ফারুক বলেন, আইসিডিতে কন্টেইনার ধারণক্ষমতার চেয়ে বেশি হওয়ায় চট্টগ্রাম বন্দর থেকে নিয়ে যাওয়া কন্টেইনার পরিবহন কিছুটা মন্থর করার নির্দেশনা দেওয়া হয়। তবে এ সংকট দ্রুত কেটে যাবে।
রেলওয়ে পূর্বাঞ্চলের বিভাগীয় পরিবহন কর্মকর্তা ওমর ফারুক বলেন, মালবাহী একটি ট্রেন লোড করতে পারলে ১০ লাখ টাকা আয় হয়। কিন্তু বন্দর কর্তৃপক্ষের সমস্যার কারণে ঢাকার ইনল্যান্ড কন্টেইনার ডিপোতে ডেলিভারি না হওয়ায় কন্টেইনারবাহী ট্রেন চালাতে পারছি না। এতে তিনটি ট্রেন বন্ধ রাখতে হয়েছে। তবে একটি কন্টেইনারবাহী ট্রেন চলাচল করছে। এছাড়া তেল ও অন্যান্য খাদ্য সামগ্রীবাহী ট্রেনও চট্টগ্রাম থেকে ছেড়ে যাচ্ছে।