পরিচয় গোপন করে চট্টগ্রাম থেকে ঢাকায় গিয়ে পালিয়েছিল হত্যা মামলার আসামি। দাঁড়ি-গোঁফ কামিয়ে পরিবর্তন করেছিলেন বেশ ভুষাও। কিন্তু তবুও শেষ রক্ষা হয়নি। হত্যাকাণ্ডের ৯ মাস পর পুলিশের হাতে ধরা পড়েছে সেই আসামি।
শনিবার (২৫ জানুয়ারি) সকালে ঢাকা থেকে চট্টগ্রামে নিয়ে আসা হয় গ্রেফতার হওয়া আসামিকে। শনিবার বিকেলে তাকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
গ্রেফতার আসামির নাম মো. রাকিবুল ইসলাম ছোটন (২২)। তিনি ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার নবীনগর নওগাঁও এলাকার মো. আব্দুল নুর মিয়ার ছেলে। তিনি চকবাজার ডিসি রোড এলাকায় বসবাস করে আসছিলেন।
রাকিবুল ইসলাম ছোটন বাকলিয়া থানার আলোচিত লোকমান হত্যা মামলার এজাহারনামীয় আসামি। হত্যাকাণ্ডের পর থেকে তিনি পলাতক ছিলেন বলে জানিয়েছে পুলিশ।
বাকলিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. নেজাম উদ্দীন বলেন, লোকমান হত্যা মামলার এজাহারনামীয় আসামি রাকিবুল ইসলাম ছোটন হত্যাকাণ্ডের পর থেকে পলাতক ছিলেন। ঢাকায় গিয়ে আত্মগোপন করে ছিলেন। সেখানে ভিন্ন নামে প্রিমিয়াম সুইটস নামে একটি দোকানে চাকরি নিয়ে কাজ করছিলেন। অভিযান চালিয়ে ঢাকার গুলশান এলাকা থেকে তাকে শুক্রবার রাতে গ্রেফতার করা হয়।
ওসি মো. নেজাম উদ্দীন জানান, রাকিবুল ইসলাম ছোটনকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। তার সাত দিনের রিমান্ড চাওয়া হয়েছে।
গত বছরের ৬ এপ্রিল বাকলিয়া থানাধীন ফুলতলা খালপাড় এলাকায় গুলিবিদ্ধ হয়ে নিহত হন লোকমান। এক কিশোরীর সঙ্গে দুই যুবকের প্রেমের বিরোধের জেরে এ হত্যাকাণ্ড ঘটে। এক যুবকের পক্ষে বড় ভাই হিসেবে বিরোধ সমাধানে গিয়েছিলেন লোকমান। লোকমান হত্যাকাণ্ডের ঘটনার পর পুলিশের সঙ্গে ‘বন্দুকযুদ্ধে’ নিহত হন মামলার প্রধান আসামি সাইফুল।
এখন পর্যন্ত এ মামলায় মোট সাত আসামিকে গ্রেফতার করা হয়েছে বলে জানান ওসি মো. নেজাম উদ্দীন।