প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে মশা নিধনে চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের (চসিক) গৃহীত বিশেষ ক্রাশ প্রোগ্রামের দ্বিতীয় দিনে মহেশখালের কয়েক কিলোমিটার এলাকায় নিজহাতে ওষুধ ছিটালেন মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দীন।
শুক্রবার (১০ এপ্রিল) বেলা সাড়ে ১১টা থেকে হালিশহর পুলিশ লাইন এলাকার ওই খালে ওষুধ ছিটানো শুরু করেন মেয়র।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন ২৭ নম্বর দক্ষিণ আগ্রাবাদ ওয়ার্ডের কাউন্সিলর এইচএম সোহেল, মেয়রের একান্ত সচিব মোহাম্মদ আবুল হাশেম, চসিকের প্রধান পরিচ্ছন্ন কর্মকর্তা শফিকুল মান্নান সিদ্দিকী যিশু, অতিরিক্ত প্রধান পরিচ্ছন্ন কর্মকর্তা মোরশেদুল আলম চৌধুরী প্রমুখ।
মোহাম্মদ আবুল হাশেম জানান, মশা নিধন অভিযানকে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিচ্ছেন মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দীন। প্রতিটি ওয়ার্ডে মশক নিধন কার্যক্রমের সার্বক্ষণিক তদারকি করছেন তিনি। মশা যাতে বংশ বিস্তার ঘটাতে না পারে সেদিকে নজর রাখার জন্য স্থানীয় লোকজনকে আহ্বান জানান মেয়র।
গত ৭ এপ্রিল প্রধানমন্ত্রী ভিডিও কনফারেন্সে মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দীনকে চট্টগ্রামে ডেঙ্গুর প্রাদুর্ভাব যাতে না হয় সে উদ্যোগ নিতে নির্দেশনা দেন। এরপর বৃহস্পতিবার (৯ এপ্রিল) মেয়র বহদ্দারহাট সংলগ্ন চাক্তাই খালে মশা নিধনের ওষুধ ছিটিয়ে বিশেষ ক্রাশ প্রোগ্রামের উদ্বোধন করেন। তিনি হেঁটে চাক্তাই খালের পাড় দিয়ে বহদ্দারহাট থেকে চকবাজার ধুনির পুল এলাকায় ওষুধ ছিটান।
বিশেষ অভিযান প্রসঙ্গে মেয়র বলেন, প্রধানমন্ত্রীকে আমি আশ্বস্ত করেছি, উনাকে কথা দিয়েছি। ইতিমধ্যে আমরা এ বিষয়টা বিবেচনায় নিয়েছি। মশাকে কীভাবে নিয়ন্ত্রণে আনা যায় সে পরিকল্পনা নিয়ে কাজ শুরু করেছি। চাক্তাই খালসহ অনেক খাল কিন্তু ভরাট। কোনো পানি চলাচল হচ্ছে না। এই বিষয়টা আমি দেড়-দু’মাস আগে থেকে সবার দৃষ্টি আকর্ষণ করেছি। খালে জমে থাকা স্থির পানি মশার প্রজনন ক্ষেত্র হিসেবে কাজ করছে। সেটা বন্ধ করা হবে।
কারণ শুধু ওষুধ ছিটিয়ে এই মশাকে আমরা নিয়ন্ত্রণ করতে পারবো না। প্রজনন ক্ষেত্রগুলো চিহ্নিত করে ধ্বংস করতে হবে। ওষুধ ছিটানোর কার্যক্রম চলমান আছে। এটা আরো বেগবান করা হবে। নতুন যন্ত্রপাতি কিনেছি। মশার ওষুধ কেনার জন্য ওয়ার্ক অর্ডার দেওয়া হয়েছে। কর্মীদের প্রতি দিন কোন কোন ওয়ার্ডে ওষুধ ছিটানো হয়েছে সেটা ছবিসহ মিডিয়ায় দিতে বলেছি তাহলে সেখানে কোনো ফাঁকি থাকবে না।