বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী উপলক্ষে ঘোষিত মুজিববর্ষে মশকমুক্ত গ্রিন ও ক্লিন সিটি, অমর একুশে বইমেলাসহ বিভিন্ন কর্মসূচি গ্রহণ করেছে চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন (চসিক)।
মঙ্গলবার (০৭ জানুয়ারি) সকালে টাইগারপাসে চসিক সম্মেলন কক্ষে বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকী উপলক্ষে কাউন্ট-ডাউন অনুষ্ঠানের প্রস্তুতি সভায় মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দীন এ ব্যাপারে নিজের পরিকল্পনা তুলে ধরেন।
মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দীন আগামী প্রজম্মের নাগরিকদের সামনে বঙ্গবন্ধুর আদর্শ তুলে ধরা এবং মুজিব বর্ষকে স্মরণীয় করে রাখার লক্ষ্যে বাটালি হিলে বঙ্গবন্ধুর ম্যুরাল, পাহাড়তলীতে শেখ রাসেল পার্ক এবং বঙ্গবন্ধু সড়কের বড়পোল গোলচত্বরে বঙ্গবন্ধুর ম্যুরাল স্থাপনের ঘোষণাও দিয়েছেন।
জানা গেছে, কর্মসূচির আওতায় নগরের প্রতিটি ওয়ার্ডকে ৪ ভাগ করে প্রতিটি ভাগে রাস্তা, ফুটপাত, গলি উপগলি, নালা-নর্দমা ইত্যাদি যথাযথভাবে পরিষ্কার, মশার বংশ বিস্তার রোধ এবং মশার প্রজনন স্থান ধ্বংসকরণে কেমিক্যাল স্প্রে, বর্জ্য ফেলার স্থান ও সেকেন্ডারি ট্রান্সফার স্টেশন প্রতিমাসে ২ বার বিশেষ পরিষ্কারকরণ, ডোর টু ডোর সেবকদের কাজের মান বাড়াতে কর্মশালা, চসিক পরিচালিত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, হাসপাতাল, অফিস ও শপিং কমপ্লেক্স ইত্যাদি পরিষ্কারকরণ, গৃহস্থালির বর্জ্যাদি নির্দিষ্ট সময়ে নির্দিষ্ট স্থানে ফেলার বিষয়ে ‘পলিথিন ব্যবহার বন্ধ করুন’, ‘চট্টগ্রাম শহরকে সুস্থ রাখুন’সহ বিভিন্ন স্লোগানে সচেতনতা বৃদ্ধির জন্য ক্যাম্পেইন, নগরবাসীকে সম্পৃক্তকরণ, মনিটরিং ও রিপোর্টিং কার্যক্রম জোরদার, নগরকে সবুজায়ন করার উদ্যোগ ইত্যাদি রয়েছে। চসিক পরিচালিত শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীদেরও বিভিন্ন কর্মসূচিতে সম্পৃক্ত করা হবে। মুজিব বর্ষের এই কার্যক্রম সরাসরি তদারকি করবেন সিটি মেয়র।
ইতোমধ্যে নগরে বসানো হয়েছে চারটি আকর্ষণীয় ‘কাউন্ট ডাউন ক্লক’। আন্দরকিল্লার নগর ভবন চত্বরে সবচেয়ে বড় ঘড়িটি বসানো হয়েছে। এ ছাড়া সার্কিট হাউসের সামনে আউটার স্টেডিয়াম, আদালত ভবন ও শাহ আমানত সেতু এলাকায় বসানো হয়েছে আরও তিনটি ঘড়ি।
এক্ষেত্রে ‘এ’ ক্যাটাগরির ক্লকের ক্ষেত্রে স্থাপন ও ১০০ দিন পর্যন্ত ব্যবস্থাপনায় ব্যয় হবে ৪৯ লাখ ৩০ হাজার ৬০৯ টাকা, আর প্রতিটি ‘বি’ ক্যাটাগরির ক্লকের ক্ষেত্রে ব্যয় ধরা হয়েছে ২৭ লাখ ৮২ হাজার ৮২৩ টাকা। চারটি কাউন্ট ডাউন ক্লকের জন্য চসিকের ব্যয় হচ্ছে ১ কোটি ৩৫ লাখ ৭৯ হাজার ৭৮ টাকা।
মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দীন বলেন, আগামী ১৭ মার্চ জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের শতবর্ষ পূর্ণ হতে যাচ্ছে। এই মুজিব বর্ষে ১৭ মার্চ থেকে ২০২১ সালের ২৬ মার্চ পর্যন্ত বছরব্যাপী কর্মসূচি গ্রহণ করেছে চসিক। এজন্য আমরা যথাযথ প্রস্তুতি নিয়েছি।
তিনি বলেন, যদি বঙ্গবন্ধুর জীবন ও কর্ম থেকে শিক্ষা নিয়ে তা আমাদের জীবনে কাজে লাগাতে পারি, সেটা হবে বঙ্গবন্ধুকে শ্রদ্ধা ও স্মরণ করার শ্রেষ্ঠ উপায়।