চট্টগ্রাম-৮ আসনের উপ-নির্বাচনে ব্যাপক প্রচার-প্রচারণা চালাচ্ছেন বিএনপির প্রার্থী আবু সুফিয়ান। প্রতিদিনই কোনো না কোনো নির্বাচনী এলাকায় গিয়ে গণসংযোগ করছেন। কালুরঘাট সেতু বাস্তবায়ন, এলাকার অবকাঠামোগত উন্নয়ন ও সন্ত্রাস-চাঁদাবাজমুক্ত পরিবেশ দেওয়ার নিশ্চয়তাসহ নানান প্রতিশ্রুতি দিয়ে ভোট প্রার্থনা করছেন তিনি।
রোববার (০৫ জানুয়ারি) সকাল ১১টায় নগরের চান্দগাঁও আবাসিক এলাকার বাসায় সাংবাদিকেদের সঙ্গে কথা বলেছেন আবু সুফিয়ান।
তিনি বলেন, মানুষের মাঝে এখনও শঙ্কা আছে আদৌ তারা ভোটকেন্দ্রে যেতে পারবেন কি-না। গত নির্বাচনে ভোটাররা ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে পারেননি। মানুষকে তার গণতান্ত্রিক অধিকার থেকে বঞ্চিত করা হয়েছিল। তাই এবার পছন্দের প্রার্থীকে বিজয়ী করার প্রতীক্ষায় আছেন ভোটাররা। প্রতিদিনই নির্বাচনী এলাকায় যাচ্ছি, ভোটারদের ব্যাপক সাড়া পাচ্ছি। সুষ্ঠু ভোট হলে বিপুল ভোটের ব্যবধানে আমি জিতবো।
তিনি বলেন, নির্বাচনে জয়ী হলে প্রথম কাজটি হবে কালুরঘাট সেতু বাস্তবায়ন করা। তারপর এলাকার অবকাঠামোগত উন্নয়ন ও সন্ত্রাস-চাঁদাবাজমুক্ত পরিবেশ তৈরি করা। গত ১১ বছরে এখানে উন্নয়নের কোনো ছোঁয়া লাগেনি। এলাকার মানুষজন উন্নয়ন থেকে বঞ্চিত। ১১ বছরেও আওয়ামী লীগ কালুরঘাট নতুন সেতু করতে পারেনি। এবারও তারা পারবে না।
আওয়ামী লীগ প্রার্থীর পক্ষে সরকারের দায়িত্বশীল লোকজন নির্বাচনী প্রচারণায় অংশগ্রহণ করছেন বলে অভিযোগ তুলে আবু সুফিয়ান বলেন, নির্বাচনী প্রচারণা শুরু হওয়ার পর থেকে আওয়ামী লীগ সমর্থিতরা দুইবার হামলা করেছে। এছাড়া ভয়-ভীতি, হুমকি-ধমকি এবং পোস্টার-ব্যানার ছিঁড়ে ফেলার মতো ঘটনাও ঘটেছে। এসব বিষয়ে নির্বাচন কমিশনে অভিযোগ দেওয়া হয়েছে।
তিনি বলেন, এটি উপ-নির্বাচন, এই নির্বাচনের মাধ্যমে সরকার পরিবর্তন হবে না। কিন্তু আমরা নির্বাচনে যাচ্ছি গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়াকে সম্মান রেখে। আমাদের দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া দুইবছর ধরে জেলখানায়। তাকে মুক্তির আন্দোলনের জন্যও এই নির্বাচনে যাওয়া।
বাজার সরকারের নিয়ন্ত্রণে নেই উল্লেখ করে আবু সুফিয়ান বলেন, দ্রব্যমূল্যের দাম হু হু করে বাড়ছে। মানুষের আয়ের চেয়ে ব্যয় বেড়েছে। সমাজে দুর্নীতি সব জায়গায় ছড়িয়ে গেছে। এসবের কারণে মানুষ সরকারের বিরুদ্ধে চলে গেছে। সুষ্ঠু ভোট হলে আওয়ামী লীগের লোকজনও নৌকায় ভোট না দিয়ে ধানের শীষে ভোট দেবেন।