কর্ণফুলীর তলদেশে চলমান ‘বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান টানেল’ এর সার্বিক প্রকল্পের ৫০ ভাগ কাজ শেষ হয়েছে। প্রায় ১০ হাজার কোটি টাকার এ প্রকল্পের কাজ নির্ধারিত মেয়াদের মধ্যেই শেষ হবে বলে আশা করছেন সংশ্লিষ্টরা।
বঙ্গবন্ধু টানেল প্রকল্পের পরিচালক প্রকৌশলী হারুনুর রশীদ জানান, প্রকল্প কাজের অগ্রগতি হয়েছে ৫০ শতাংশ। টানেলের দুটি টিউবের প্রতিটির দৈর্ঘ্য ২ হাজার ৪৫০ মিটার। এরমধ্যে একটি টিউবের ১ হাজার ২২০ মিটার খননকাজ শেষ হয়েছে। বোরিংয়ের সঙ্গে স্থাপন করা হচ্ছে রিং।
এদিকে টানেল খননের পাশাপাশি দু’পাশের প্রায় সাড়ে ৫ কিলোমিটার অ্যাপ্রোচ সড়ক নির্মাণের কাজও চলমান রয়েছে। নির্মিত হচ্ছে ৭২৭ মিটার দৈর্ঘ্যের ওভারব্রিজ। টানেলের জন্য অধিগ্রহণ করা হয়েছে ৩৮১ একর জমি।
টানেল নির্মাণে ব্যয় হবে ৯ হাজার ৮৮০ কোটি টাকা। এরমধ্যে প্রকল্প ঋণ হিসাবে ৫ হাজার ৯১৩ কোটি টাকা দিচ্ছে চীনের এক্সিম ব্যাংক। বাকি অর্থায়ন করছে বাংলাদেশ সরকার। চীনা প্রতিষ্ঠান চায়না কমিউনিকেশন অ্যান্ড কনস্ট্রাকশন কোম্পানি লিমিটেড (সিসিসিসি) এই প্রকল্প বাস্তবায়ন করছে।
চীনের আর্থিক ও কারিগরি সহযোগিতায় প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করছে বাংলাদেশের সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয়। চট্টগ্রাম শহরপ্রান্তের নেভাল একাডেমির পাশ দিয়ে এ টানেল যাবে নদীর দক্ষিণ পাড়ের সিইউএফএল ও কাফকোর মাঝামাঝি স্থান দিয়ে। কর্ণফুলীর মধ্যভাগে বঙ্গবন্ধু টানেল যাবে ১৫০ ফুট গভীরে। দুটি টিউবের একটি দিয়ে যানবাহন যাবে এবং আরেকটি দিয়ে ফিরবে। প্রতিটি টিউব হবে দুই লেনের।
টানেলের জন্য থাকবে সার্বক্ষণিক বিদ্যুত ব্যবস্থা। এজন্য তৈরি করা হচ্ছে ৩৩ কেভির দুটি নিজস্ব সাবস্টেশন ও সঞ্চালন লাইন। জরুরী প্রয়োজনে এক টিউব থেকে অন্য টিউবে যেতে তিনটি স্থানে থাকবে সংযোগ ব্যবস্থা।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ২০১৯ সালের ২৪ ফেব্রুয়ারি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান টানেল নির্মাণকাজ আনুষ্ঠানিকভাবে উদ্বোধন করেন।