চট্টগ্রাম: চন্দনাইশ থানায় ছয় মাসের অন্তঃসত্ত্বা স্ত্রী শাহীন আক্তারকে কুপিয়ে হত্যার দায়ে স্বামী মো. আবু তৈয়বকে মৃত্যুদণ্ড ও ১ লাখ টাকা জরিমানা করেছেন আদালত।
সোমবার (৩০ অক্টোবর) চট্টগ্রামের ষষ্ঠ অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ সাইফুর রহমানের আদালত এই রায় দেন।
মো. আবু তৈয়ব (৩৫), চন্দনাইশ উপজেলার ধোপাছড়ি ইউনিয়নের জাফরাবাদ এলাকার টুনু মিয়ার ছেলে।
চট্টগ্রাম জেলা পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) শেখ ইফতেখার সাইমুল চৌধুরী বলেন, ছয় মাসের অন্তঃসত্ত্বা স্ত্রী শাহীন আক্তারকে কুপিয়ে হত্যার অভিযোগ ১১ জন সাক্ষীর সাক্ষ্যপ্রমাণে প্রমাণিত হওয়ায় স্বামী মো. আবু তৈয়বকে মৃত্যুদণ্ড ও ১ লাখ টাকা জরিমানা করেছেন আদালত।
একই সঙ্গে সাত দিনের মধ্যে মৃত্যুদণ্ডের নথি সুপ্রিম কোর্টের হাইকোর্ট বিভাগে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছেন আদালত। মামলায় শাহীন আক্তারের দুই কন্যা রিমু আক্তার ও রেশমি আক্তার আদালতে সাক্ষী দিয়ে ছিলেন।
রায়ের সময় আবু তৈয়বকে আদালতে হাজির ছিলেন। পরে সাজা পরোয়ানা প্রাপ্ত আসামিকে পুনরায় কারাগারে পাঠানো হয়।
মামলার নথি থেকে জানা যায়, চন্দনাইশ উপজেলার বৈলতলী ইউনিয়নের বাসিন্দা শাহীন আক্তারের সঙ্গে ২০০৪ সালে আবু তৈয়বের বিয়ে হয়। এর আগে শাহীন আক্তারের একবার বিয়ে হয়েছিল। দ্বিতীয় বিয়ের পর স্বামীর বাড়িতে থাকতেন শাহীন আক্তার। তবে তার নামে একটি বৈলতলী ইউনিয়নে বসতভিটে ছিল। এটি নিজের নামে রেজিস্ট্রি করে দেওয়ার জন্য শাহীন আক্তারকে চাপ দিতে থাকে আবু তৈয়ব। এ নিয়ে দীর্ঘ দিনের বিরোধের জেরে ২০১৭ সালের ১০ জানুয়ারি শাহীন আক্তারকে ধারালো দা দিয়ে কুপিয়ে হত্যা করে আবু তৈয়ব। ওই সময় ৬ মাসের অন্তঃসত্ত্বা ছিলেন শাহীন আক্তার। এ ঘটনায় ভুক্তভোগীর বাবা নুরুল আলম বাদি হয়ে ওই দিনই চন্দনাইশ থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। এতে একমাত্র আসামি করা হয়েছিল আবু তৈয়বকে। মামলাটির তদন্ত শেষে ২০১৭ সালের ১৯ এপ্রিল আবু তৈয়বের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দাখিল করলে আসামির বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করে বিচার শুরু আদেশ দেন আদালত।