মেডিক্যাল কলেজে পড়াশোনা করেননি তারা। নেই বিএমডিসির কোনো সনদও। তবে নামের আগে স্বামী-স্ত্রী দু’জনই লিখেছেন ডাক্তার। রোগীদের কাছে পরিচয় দিচ্ছেন বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক হিসেবেই।
শেষ রক্ষা হয়নি এ ভুয়া ‘ডাক্তার’ দম্পতির। ভ্রাম্যমাণ আদালতের হাতে ধরা পড়ে গুনতে হয়েছে জরিমানা। সিলগালা করে দেওয়া হয়েছে তাদের পরিচালিত ক্লিনিকটি।
মঙ্গলবার (৭ জানুয়ারি) দুপুরে হাটহাজারীর সরকারহাট এলাকার মহাজন মার্কেটে অভিযান পরিচালনা করেন ভ্রাম্যমাণ আদালত। এতে নেতৃত্ব দেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. রুহুল আমিন।
অভিযানে মা ও শিশু স্বাস্থ্যসেবা কেন্দ্র নামের একটি ক্লিনিকে অভিযান চালিয়ে এম ফয়েজ আহমেদ মিলন ও রাজিয়া সুলতানা নামের ভুয়া ‘ডাক্তার’ দম্পতিকে হাতেনাতে ধরা হয়। দ ‘জনকে ২৫ হাজার করে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।
এ সময় মা ও শিশু স্বাস্থ্যসেবা কেন্দ্রের পাশের হযরত ডেন্টাল কেয়ার এবং প্রসূতিসেবা কেন্দ্র নামে আরও দুটি ‘চিকিৎসা কেন্দ্রে’ অভিযান পরিচালনা করেন ভ্রাম্যমাণ আদালত।
টেকনেশিয়ান হয়েও ‘মহিলা দন্ত চিকিৎসক’ সেজে রোগীদের সঙ্গে প্রতারণার দায়ে হযরত ডেন্টাল কেয়ারের মমতাজ কামালকে ১০ হাজার টাকা এবং একটি হাসপাতালের আয়া হয়েও ‘প্রসূতি পরামর্শক’ সেজে প্রতারণার দায়ে প্রসূতিসেবা কেন্দ্রের মীরা মল্লিককে ৫ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। দুটি প্রতিষ্ঠান সিলগালা করে দেওয়া হয়।
ইউএনও মো. রুহুল আমিন জানান, নিজ নামের সঙ্গে ডাক্তার পদবী জুড়ে দিয়ে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক সেজে চিকিৎসা সেবা দেওয়ার নামে মানুষের সঙ্গে প্রতারণা করছিলেন তারা। অভিযান চালিয়ে জরিমানাসহ তাদের পরিচালিত ক্লিনিকগুলো বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে।
হাটহাজারীতে ভুয়া ডাক্তার ও অবৈধ ক্লিনিকের বিরুদ্ধে এ ধরনের অভিযান অব্যাহত থাকবে বলে জানান তিনি।
অভিযানে উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. ইমতিয়াজ, হাটহাজারী মডেল থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) লিটন এবং জাহাঙ্গীর অংশ নেন।