প্রাণঘাতী করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ থেকে রক্ষা পেতে নিজ ঘরে আটকে পড়া দক্ষিণ চট্টগ্রামের লোহাগাড়া-সাতকানিয়ায় আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় উপ-প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক আমিনুল ইসলামের নিজস্ব অর্থায়নে ১৮শ কর্মহীন শ্রমজীবী, খেটে খাওয়া, হতদরিদ্র মানুষদের ঘরে ঘরে ত্রাণসামগ্রী পৌঁছে দিয়েছেন।
শুক্রবার (৩ এপ্রিল) বিকেল ৫টায় লোহাগাড়ায় দ্বিতীয় কিস্তিতে ৪শ জন কর্মহীন শ্রমজীবী মানুষের ঘরে ত্রাণ পৌঁছে দিতে স্থানীয় ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি-সাধারণ সম্পাদকের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।
আমিনুল ইসলামের পক্ষে স্থানীয় নেতাদের কাছে এসব ত্রাণসামগ্রী হস্তান্তর করেন লোহাগাড়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি খোরশেদ আলম চৌধুরী। এসময় অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন লোহাগাড়া প্রেসক্লাব সভাপতি নুরুল ইসলাম, উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক কাশেম মিয়া, ফরিদ আহমদ, সাংগঠনিক সম্পাদক মুজিবুর রহমান, দপ্তর সম্পাদক তৈয়বুল হক বেদার, প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক আবুল কালাম আজাদ, কোষাধ্যক্ষ মাহমুদুল হক, শ্রমিকলীগের সভাপতি ফরিদ উদ্দিন ও আমিনুল ইসলামের ব্যক্তিগত সহকারী মিরান হোসেন মিজানসহ ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি-সাধারণ সম্পাদকরা।
এর আগে আমিনুল ইসলামের পক্ষে সাতকানিয়ায় এক হাজার কর্মহীন শ্রমজীবী মানুষের ঘরে ত্রাণসামগ্রী বিতরণ করা হয়।
লোহাগাড়ায় প্রথম কিস্তিতে স্থানীয় দলীয় নেতাকর্মীদের মাধ্যমে ৪শ জন কর্মহীন শ্রমজীবী ত্রাণসামগ্রী পান। বিতরণ করা এসব খাদ্যসামগ্রীর মধ্যে রয়েছে ১০ কেজি চাল, ২ কেজি আলু, ১ কেজি ডাল, ১ কেজি লবণ, ১ কেজি পেঁয়াজ ও ১টি সাবান।
আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় উপ-প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক আমিনুল ইসলাম জানান, প্রাণঘাতী করোনা ভাইরাসের কারণে পুরো বিশ্ব স্তব্ধ হয়ে পড়েছে। এটি একটি বৈশ্বিক সমস্যা। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দূরদর্শিতা ও আগাম পদক্ষেপের কারণে বাংলাদেশে অনেকটা নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। দেশের আকাশপথ ও সড়ক যোগাযোগ বন্ধ থাকায় আমার প্রাণপ্রিয় সাতকানিয়া-লোহাগাড়ায় আসা সম্ভব না হলেও টেলিফোনে স্থানীয় নেতাদের মাধ্যমে লোকজনের সঙ্গে সার্বক্ষণিক যোগাযোগ রেখেছি এবং ব্যক্তিগত তহবিল থেকে দলীয় নেতাকর্মীদের মাধ্যমে ১৮শ কর্মহীন শ্রমজীবী-হতদরিদ্র মানুষের কাছে খাদ্যসামগ্রী পৌঁছে দেওয়ার ব্যবস্থা করেছি।
‘এছাড়াও কয়েক দফায় দুই উপজেলায় তিন হাজার মাস্ক, সাবান, গ্লভস ও হ্যান্ড স্যানিটাইজারসহ সুরক্ষা সামগ্রী বিতরণের ব্যবস্থা করেছি। আশা করি এর মাধ্যমে ঘরে আটকে থাকা কর্মহীন হতদরিদ্ররা কিছুটা হলেও খাদ্য সংকট থেকে রক্ষা পাবেন।’