কাশ্মির ইস্যুতে পাকিস্তান ও ভারতের মধ্যে সর্বাত্মক যুদ্ধ শুরু হয়ে যেতে পারে পারে সতর্কবাণী উচ্চারণ করেছেন পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান। শুক্রবার সুইজারল্যান্ডের দাভোসে বিশ্ব অর্থনৈতিক ফোরামে দেওয়া ভাষণে তিনি এমন এমন সতর্ক বার্তা উচ্চারণ করেন। একইসঙ্গে এ ইস্যুতে অবিলম্বে হস্তক্ষেপ করতে আন্তর্জাতিক সমাজের প্রতি তিনি আহ্বান জানান।
ইমরান খান বলেন, ‘যদি কোনও ভুল হয় তাহলে তার প্রভাব উপমহাদেশের বাইরেও ছড়িয়ে পড়বে। ভারত ভুল পথে হাঁটছে এবং এটা আমার দায়িত্ব যে, দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর বিশ্বের যে কোনও স্থানে যুদ্ধকে প্রতিরোধ করার লক্ষ্যে যে ফোরাম গঠিত হয়েছিল তাকে এ বিষয়ে অবহিত করা।’
দুনিয়ার কোথাও কাশ্মিরের মতো এতোটা যুদ্ধের ঝুঁকি নেই বলেও উল্লেখ করেন ইমরান খান। এমন সময়ে তিনি অঞ্চলটি নিয়ে যুদ্ধের সর্তক বার্তা উচ্চারণ করলেন যার কিছুদিন আগেই কাশ্মিরে কথিত ‘জঙ্গিবাদ নির্মূল ক্যাম্প’ নির্মাণের ঘোষণা দেন ভারতের নবনিযুক্ত প্রতিরক্ষা প্রধান (সিডিএস) জেনারেল বিপীন রাওয়াত।
মনে করা হচ্ছে, ভারতের উগ্র হিন্দুত্ববাদী বিজেপি সরকারের তৈরি এই ক্যাম্প হবে চীনের মুসলিম বন্দিশিবিরগুলোর মতো। ওই বন্দিশিবিরগুলোতে অবর্ণনীয় অবস্থার মধ্যে রাখা হয় চীনের কমবেশি ৩০ লাখ উইঘুর মুসলমানকে। এমন পরিস্থিতিতে ভারতের প্রতিরক্ষা প্রধানের মন্তব্যে কাশ্মিরজুড়ে উদ্বেগ-আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে।
গত সপ্তাহে দিল্লিতে সাংবাদিক ও বিদেশি প্রতিনিধিদের এক অনুষ্ঠানে জেনারেল বিপিন রাওয়াত বলেন, ‘কাশ্মিরে আমরা কী ঘটতে দেখছি। দেখছি জঙ্গিবাদ হচ্ছে। এমন কিছু মানুষ আছে যারা পুরোপুরি জঙ্গিবাদী হয়ে গেছে। এসব মানুষদের আলাদা করে ফেলা দরকার, তাদের জঙ্গিবাদ নির্মূল ক্যাম্পে নিয়ে যাওয়ার দরকার। আমাদের দেশে জঙ্গিবাদ নির্মূল ক্যাম্প পরিচালনা দরকার।’ এরপরই শুক্রবার অঞ্চলটিকে কেন্দ্র করে সংঘাতের আশঙ্কা জানালেন ইমরান খান।
তিনি বলেন, কাশ্মিরের স্বায়ত্বশাসন কেড়ে নিয়ে ভারত জাতিসংঘের প্রস্তাব লঙ্ঘন করেছে। সেখানে বর্তমানে ৮০ লাখ মানুষ কার্যত এখন অবরুদ্ধ হয়ে পড়েছেন।
উল্লেখ্য, কাশ্মির ইস্যুতে এ পর্যন্ত তিনবার যুদ্ধে লিপ্ত হয়েছে পাকিস্তান ও ভারত।