ভারতে ২১ দিনের লকডাউনের চলতি সপ্তাহই হলো শেষ সপ্তাহ। তবে বাড়তে পারে লকডাউনের দিনক্ষণ। অবশ্য তা বোঝা যাবে শনিবার (১১ এপ্রিল)। ইতোমধ্যে দেশজুড়ে ৭০টি এলাকা চিহ্নিত করা হয়েছে। সিল করা হয়েছে সেই সব সংক্রামক এলাকা।
তারপরেও ভারতে করোনা ভাইরাসে )কোভিড-১৯) সংক্রমণ বা মৃত্যু, কোনোটাই আটকানো যাচ্ছে না। গত ৩৬ ঘণ্টায় করোনার কারণে দেশটিতে মৃত্যু হয়েছে ৩২ জনের মতো। ৭৭৩ জন নতুন করে আক্রান্ত।
বুধবার (৮ এপ্রিল) রাত অব্দি মোট ৫ হাজার ৭৩৪ জন সংক্রমিত হয়েছে। মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১৬৬ জন। মোট ৪১১ জন কোভিড-১৯ রোগ থেকে সেরে উঠেছেন। দিন দিন যে হারে আক্রান্ত বাড়ছে, তার সামনে সুস্থ হওয়ার সংখ্যাটা মোটেই বেশি নয়
পরিসংখ্যান বলছে, ভারতে আক্রান্তদের পাঁচ শতাংশের এক শতাংশই রয়েছেন মহারাষ্ট্রে।
স্বাস্থ্যমন্ত্রকের ওয়েবসাইট বলছে, বুধবার বিকেল পর্যন্ত রাজ্যে সংক্রমিত মোট ১ হাজার ১৮। দেশের মধ্যে সর্বাধিক, ৬৪ জন মারা গেছে মহারাষ্ট্রে।
এছাড়া কেন্দ্রীয় সরকারের পক্ষ থেকে দেশটির বাণিজ্যনগরী মুম্বাইকে হটস্পট ঘোষণা করা হয়েছে। মুম্বাইতে এই পর্যন্ত আক্রান্তের সংখ্যা ৫৯০। এছাড়া দিল্লির ২০টি এলাকা করোনার কারণে সিল করা হয়েছে।
ঘর থেকে কেউ বেরোলে মাস্ক ব্যবহার আবশ্যিক করা হয়েছে। এছাড়া হটস্পট বা মহামারি চিহ্নিত এলাকা নির্দেশ না মানলে ভারতীয় দণ্ডবিধির ১৮৮ ধারায় (সরকারি নির্দেশ অমান্য) গ্রেফতার করা হতে পারে বলে ঘোষণা জারি করা হয়েছে।
এছাড়া স্বাস্থ্যমন্ত্রকের পরিসংখ্যান অনুযায়ী, মহারাষ্ট্রের পরেই রয়েছে তামিলনাড়ু। দক্ষিণী এই রাজ্যে করোনায় আক্রান্তের সংখ্যা ৬৯০। আক্রান্তের নিরিখে এরপরে রয়েছে, তেলেঙ্গানা (৪২৭), উত্তরপ্রদেশ (৩৪৩), কেরলা (৩৩৬), রাজস্থান (৩২৮) ও অন্ধ্রপ্রদেশ (৩০৫)। মৃত্যুর সংখ্যায় অবশ্য মহারাষ্ট্রের পরেই রয়েছে গুজরাত ও মধ্যপ্রদেশ।
তবে দেশের নিরিখে এখনো অব্দি কিছুটা হলেও সন্তোষজনক অবস্থায় আছে পশ্চিমবঙ্গ। রাজ্যটিতে আক্রান্তে সংখ্যা ৭১, মৃত্যু হয়েছে ৫ জনের। রাজ্যটিতে সুস্থ হয়েছে ১৩ জন।