রাত ৩টায় যন্ত্রণায় কাতর প্রসূতিকে হাসপাতালে নিল পুলিশ

নগরের কোতোয়ালী থানাধীন ব্রিকফিল্ড বাইলেইনের বাসিন্দা শিপন সেন (৩০)। রাত ৩টায় প্রসবের যন্ত্রণায় কাতরাচ্ছিলেন শিপন সেনের স্ত্রী প্রান্তি সেন। নিরুপায় শিপন সেন ফোন করেছিলেন কোতোয়ালি থানায় সহায়তার জন্য।

অল্প কিছুক্ষণের মধ্যে শিপন সেনের বাসায় গাড়িসহ হাজির হন কোতোয়ালি থানা পুলিশের সদস্যরা। পুলিশ সদস্যরা প্রান্তি সেনকে নিয়ে যান আন্দরকিল্লা জেমিসন রেডক্রিসেন্ট মাতৃসদন হাসপাতালে। সেখানে জন্ম দেন ফুটফুটে এক মেয়ের।

বুধবার (০৮ এপ্রিল) ভোরে এ ঘটনা ঘটে। প্রান্তি সেনকে হাসাপাতালে নেওয়া থেকে শুরু করে ভর্তি, ওষুধ ক্রয় সবকিছুই করেন পুলিশ সদস্যরা।

সদ্যজাত কন্যার বাবার শিপন সেন কৃতজ্ঞতা জানান পুলিশের প্রতি। তিনি বলেন, স্ত্রীর যন্ত্রণা দেখে নিজেকে খুব অসহায় লাগছিল। রাত ৩টায় কী করবো বুঝতে পারছিলাম না। কোনো গাড়ি নেই, অ্যাম্বুলেন্সের নম্বর নেই। পুরোপুরি অসহায় ছিলাম। পরে নিরুপায় হয়ে কোতোয়ালী থানার ওসিকে ফোন করেছিলাম।

তিনি বলেন, পুলিশ সদস্যরা আমার স্ত্রীকে হাসপাতালে নিয়ে গেছেন। ভর্তি থেকে শুরু করে, ওষুধ ক্রয় সব তারা করেছেন। আমি অসহায়ের মতো দেখছিলাম। ভোরে আমাদের ফুটফুটে একটি কন্যা সন্তান হয়েছে।

শিপন সেন বলেন, হাসপাতালে আনতে দেরি হলে হয়তো আমার স্ত্রী সন্তান দুইজনকেই হারাতাম আমি। পুলিশ সদস্যদের প্রতি কৃতজ্ঞতা।

শিপন সেনের স্ত্রী প্রান্তি সেন আন্দরকিল্লা জেমিসন রেডক্রিসেন্ট মাতৃসদন হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন। মা ও সন্তান দুইজনই সুস্থ রয়েছেন বলে জানান শিপন সেন।

কোতোয়ালি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ মহসীন বলেন, শিপন সেন নামে এক ব্যক্তি রাত ৩টায় ফোন করে স্ত্রীকে হাসপাতালে নিতে সহায়তা চান। সঙ্গে সঙ্গে আমাদের টিম পাঠিয়েছি। পুলিশ সদস্যরা নিজেরা হাসপাতালে নিয়ে যান।

তিনি বলেন, আমরা সর্বোচ্চ সহায়তা করার চেষ্টা করেছি। হাসপাতালে ওই দম্পতির একটি বাচ্চা হয়েছে। তারা সুস্থ আছেন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *