বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর অবিলম্বে খালেদা জিয়ার মুক্তি দাবি করে বলেছেন, দলের চেয়ারপারসন অত্যন্ত অসুস্থ। তার পরিবারের সদস্যরা রোববার (৫ জানুয়ারি) হাসপাতালে গিয়ে দেখে এসেছেন। অবিলম্বে তার উন্নত চিকিৎসার প্রয়োজন।
সোমবার (৬ জানুয়ারি) দুপুরে রাজধানীর নয়াপল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।
মির্জা ফখরুল বলেন, দেশনেত্রী খালেদা জিয়া বিছানা থেকে উঠে দশ কদম দূরে টয়লেটে যেতে পারছেন না। তিনি হাত দিয়ে কিছু ধরতে পারছেন না। কিছু খেতেও পারছেন না। যা খাচ্ছেন তা বমি করে ফেলে দিচ্ছেন। আমরা অত্যন্ত দুঃখের সঙ্গে জানাচ্ছি যে, দেশনেত্রী এতোটা অসুস্থ হওয়ার পরেও তাকে তার প্রাপ্য জামিন দেওয়া হচ্ছে না। আমরা দাবি জানাচ্ছি, অবিলম্বে তাকে মুক্তি দিয়ে উন্নত চিকিৎসা দেওয়ার সুযোগ করে দেওয়া হোক।
তিনি বলেন, আপনারা জানেন যে, সম্পূর্ণ একটা মিথ্যা মামলা দিয়ে তাকে কারাগারে আটক করে রাখা হয়েছে। আইনগতভাবে প্রাপ্য জামিনও তাকে দেওয়া হচ্ছে না। দুর্ভাগ্যের বিষয় সরকার এ কাজগুলো করতে গিয়ে বিচার বিভাগকে ধ্বংস করে দিয়েছে।
বিএনপির মহাসচিব বলেন, সরকারের কাছে আমি বলবো, অবিলম্বে খালেদা জিয়াকে মুক্তি দিয়ে তার চিকিৎসার সুযোগ করে দিন অন্যথায় সব দায়-দায়িত্ব আপনাদেরই বহন করতে হবে।
বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান ডা. এ জেড এম জাহিদ হোসেন খালেদা জিয়ার স্বাস্থ্যের বর্তমান অবস্থা সম্পর্কে বিস্তারিত তুলে ধরে বলেন, দেশনেত্রী খালেদা জিয়াকে উন্নত চিকিৎসা দেওয়ার জন্য সরকার গঠিত মেডিক্যাল বোর্ড অনেক আগেই পরামর্শ দিয়েছিল। যদিও সরকার বলে থাকে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ে (বিএসএমএমইউ) উন্নত চিকিৎসার ব্যবস্থা রয়েছে। কিন্তু আমরা বলতে চাই, সেখানে উন্নত চিকিৎসা হচ্ছে না। তাই অবিলম্বে তাকে উন্নতমানের হাসপাতালে ভর্তি করার সুযোগ দেওয়া হোক।
তিনি উদাহরণ দিয়ে বলেন, বিএসএমএমইউতে উন্নত চিকিৎসার ব্যবস্থা থাকলে কয়েকদিন আগে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরকে কেন বিদেশে নেওয়া হয়েছিল।
সংবাদ সম্মেলনে অন্যদের মধ্যে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন, ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ, মির্জা আব্বাস, গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, নজরুল ইসলাম খান, আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী, ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু, সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী, যুগ্ম মহাসচিব খায়রুল কবির খোকন, মেয়র প্রার্থী ইশরাক হোসেন উপস্থিত ছিলেন।