আসন্ন ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন (ডিএসসিসি) নির্বাচনে মেয়র প্রার্থী হিসেবে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন পেয়েছেন ঢাকা-১০ আসনের সংসদ সদস্য শেখ ফজলে নূর তাপস, বাদ পড়েছেন সাঈদ খোকন।
রোববার (২৯ ডিসেম্বর) সকালে রাজধানীর ধানমন্ডিতে আওয়ামী লীগ সভাপতির রাজনৈতিক কার্যালয়ে দলের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের ঢাকা দক্ষিণে মেয়র প্রার্থী হিসেবে শেখ ফজলে নূর তাপসের নাম ঘোষণা করেন।
এর আগে, দলের মেয়র ও কাউন্সিলর প্রার্থী নির্বাচনে শনিবার (২৮ ডিসেম্বর) সন্ধ্যা সাড়ে ৬টায় গণভবনে আওয়ামী লীগের স্থানীয় সরকার মনোনয়ন বোর্ডের বৈঠক হয়। সেসময় চূড়ান্ত প্রার্থীদের নাম জানানো হয়নি। বৈঠক শেষে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের জানান, রোববার সকাল ১১টায় ধানমন্ডিতে সংবাদ সম্মেলনে মেয়র ও কাউন্সিলরদের নাম ঘোষণা করা হবে।
এবারের নির্বাচনে ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের মেয়র পদে আওয়ামী লীগের দলীয় মনোনয়ন ফরম জমা দেন- শেখ ফজলে নূর তাপস, সাঈদ খোকন, আওয়ামী লীগের আইন বিষয়ক সম্পাদক অ্যাডভোকেট নজিবুল্লাহ হিরু, ঢাকা-৭ আসনের সংসদ সদস্য হাজী মোহাম্মদ সেলিম, আওয়ামী লীগ নেতা মো. নাজমুল হক, মুক্তিযোদ্ধা সংসদের সাবেক মহাসচিব অধ্যাপক এমএ রশিদ, আশরাফ হোসেন সিদ্দিকী ও হাজী আবুল হাসনাত।
গত বৃহস্পতিবার (২৬ ডিসেম্বর) ধানমণ্ডির আওয়ামী লীগ সভাপতির রাজনৈতিক কার্যালয়ে মনোনয়ন ফরম সংগ্রহ করেন ডিএসসিসির বর্তমান মেয়র সাঈদ খোকন। সেসময় কান্নাজড়িত কণ্ঠে তিনি বলেন, এখন রাজনীতিতে আমার কঠিন সময় যাচ্ছে। আমি সবসময় ঢাকাবাসীর পাশে ছিলাম। আপনারা আমার জন্য দোয়া করবেন।
শুক্রবার (২৭ ডিসেম্বর) ফরম জমা দেন ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস, হাজী মোহাম্মদ সেলিম, সাঈদ খোকন ও নজিবুল্লাহ হিরুসহ অন্যরা। এদিন তাপস নিজে আসেননি। তার পক্ষে ধানমন্ডি, মোহাম্মদপুর, হাজারীবাগ ও নিউমার্কেট থানার নেতারা উপস্থিত ছিলেন। আর হাজী সেলিম ও সাঈদ খোকন স্বশরীরে উপস্থিত হয়ে ফরম জমা দেন। নজিবুল্লাহ হিরুর পক্ষে তার সহকারী অ্যাডভোকেট ওমর ফারুক মনোনয়ন ফরম জমা দেন।
২০১৫ সালের ২৮ এপ্রিল ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের মেয়র নির্বাচনে বিএনপি প্রার্থী মির্জা আব্বাসকে হারিয়ে মেয়র নির্বাচিত হন সাঈদ খোকন। তার বাবা মোহাম্মদ হানিফ ছিলেন অবিভক্ত ঢাকা সিটির প্রথম নির্বাচিত মেয়র। আর বিভক্ত ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) প্রথম নির্বাচিত নগরপিতা হন সাঈদ খোকন।