৮৭ হাজার কোটি টাকার বিশেষ তহবিল গঠনের প্রস্তাব বিএনপির

জিডিপির তিন শতাংশ, অর্থাৎ ৮৭ হাজার কোটি টাকার একটি বিশেষ তহবিল ঘোষণা করতে সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে বিএনপি। করোনাভাইরাসের সময় অর্থনৈতিক সংকট মোকাবিলার জন্য এই তহবিল গঠনের আহ্বান জানিয়েছে দলটি। শনিবার (৪ এপ্রিল) গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর এই বিশেষ তহবিল ঘোষণার আহ্বান জানান।

মির্জা ফখরুল বলেন, ‘আমরা শুধু অর্থনৈতিক ক্ষেত্রের জন্য কতগুলো পদক্ষেপের প্রস্তাব রাখছি। কিছু পদক্ষেপ নিতে হবে স্বল্পমেয়াদি, অনতিবিলম্বে, আর সময়ক্ষেপণ না করে। কিছু মধ্যমেয়াদি এবং দীর্ঘমেয়াদি। আমাদের দেওয়া সুপারিশগুলো বাস্তবায়নের জন্য জিডিপির তিন শতাংশ অর্থ সমন্বয়ে ৮৭ হাজার কোটি টাকার একটি বিশেষ তহবিল ঘোষণা করতে হবে। শাটডাউন প্রত্যাহার হলে নতুন করে একটি সংশোধিত আর্থিক প্যাকেজ দিতে হবে। যেন সব সেক্টরের অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ড সাধারণ ছুটির আগের স্তরে ফিরে আসতে পারে।’

মির্জা ফখরুল বলেন, ‘স্বল্পমেয়াদি খাতে ৬১ হাজার কোটি টাকা, মধ্যমেয়াদি খাতে ১৮ হাজার কোটি টাকা এবং অতিরিক্ত আরও আট হাজার কোটি টাকা বরাদ্দ রাখতে হবে।’ একইসঙ্গে তিনি ২৭ দফা প্যাকেজ প্রস্তাবনা তুলে ধরেন।

বিএনপি মহাসচিব বলেন, ‘বিভিন্ন ক্যাটাগরিতে দ্রুত সাহায্য পৌঁছাতে হবে। এর মধ্যে থাকবে দৈনিক মজুরিভিত্তিক গ্রুপ, অপ্রাতিষ্ঠানিক সেক্টর, আত্মকর্মসংস্থানকারী, গ্রামীণ ভূমিহীন কৃষক, কৃষি শ্রমিক, মাইগ্র্যান্ট ওয়ার্কার্স, গণপরিবহন শ্রমিক, রোড সাইড ভেন্ডর, সকাল-বিকাল বিভিন্ন জায়গায় কাজ করে উপার্জনকারী গ্রুপ ইত্যাদি।’

‘দিন এনে দিন খায়’ শ্রমিকদের কথা উল্লেখ করে মির্জা ফখরুল বলেন, ‘দিনমজুর, রিকশাওয়ালা, ভ্যানচালক, হকার, ভাসমান শ্রমিক, ছিন্নমূল, ভিক্ষুক, ভবঘুরে, সিএনজি ড্রাইভার, ভাড়াভিত্তিক গাড়িচালক, পরিবহন শ্রমিক, বস্তিবাসী এরা মহামারীর কারণে ঘোষিত লকডাউনে কর্মহীন হয়ে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। স্বল্পমেয়াদি পদক্ষেপের অংশ হিসেবে অনতিবিলম্বে এদের মুখে খাবার তুলে দেওয়া অপরিহার্য। প্রাথমিকভাবে এপ্রিল-মে-জুন এই তিন মাসের জন্য জনপ্রতি ১৫ হাজার টাকা বরাদ্দ করে অনতিবিলম্বে ঘরে ঘরে গিয়ে অর্থ নগদ পরিশোধ করতে হবে।’

মির্জা ফখরুল বলেন, ‘প্রয়োজনে সামরিক বাহিনী ও স্থানীয় প্রশাসনের তত্ত্বাবধানে প্রাথমিকভাবে তিন মাসের জন্য আশ্রয়হীনদের অস্থায়ী আবাসন ও তাদের দুই বেলা খাবারের ব্যবস্থা করতে হবে। এজন্য ন্যূনতম আট হাজার কোটি টাকা বরাদ্দ করতে হবে।’

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *