বিশ্বকাপ শুরুর আগে এ বছর ওয়ানডেতে দেশের সর্বোচ্চ রানসংগ্রাহক ছিলেন নাজমুল হোসেন শান্তর, শেষ হওয়ার পরও তাই। কিন্তু মাঝের ৯ ম্যাচ নিয়ে এই ব্যাটার নিজেও সন্তুষ্ট নন নিশ্চয়ই।
অবশ্য ২ হাফ সেঞ্চুরিতে ২২২ রান করে আসর শেষ করেছেন তিনি। কিন্তু এর আগে এ বছর খেলা ১৫ ম্যাচের দুটিতে সেঞ্চুরি ও ৫টি হাফ সেঞ্চুরিতে ৪৯.৮৫ গড়ে করেছেন ৬৯৮ রান।
এমন ফর্ম নিয়ে বিশ্বকাপে এসে নিজের পারফরম্যান্সে সন্তুষ্ট নন শান্ত। তবে তিনি বলছেন, নিজের প্রথম বিশ্বকাপ থেকে শিখতে পেরেছেন অনেক কিছু।
অস্ট্রেলিয়া ম্যাচের পর সংবাদ সম্মেলনে শান্ত বলেন, ‘প্রথম ওয়ানডে বিশ্বকাপ ছিল আমার, প্রথম এরকম বড় বড় দল ও পরিবেশে খেললাম। এ অভিজ্ঞতা কাজে দেবে।
ব্যাটিংয়ে মাঝখানে পাঁচ ছয়টা ম্যাচ একদমই ভালো হয়নি। কী কী ভুল ছিল বা অন্যান্য দলের বড় বড় টপ অর্ডার ব্যাটাররা কীভাবে রান করছিল; অনেক কিছু অভিজ্ঞতা হয়েছে। এখান থেকে কীভাবে সামনে উন্নতি করতে পারি ওটাই মূল বিষয় হবে যদি সুযোগ আসে। ’
ভারত ও অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে অধিনায়কত্ব করার অভিজ্ঞতা জানিয়ে শান্ত বলেন, ‘দুটো ম্যাচই জিততে পারিনি। কিন্তু অনেক কিছু শেখার ছিল। দুটো দলের বিপক্ষেই চাপ ছিল। আমার মনে হয় যে অনেক কিছু শিখতে পেরেছি এবং এটা ভবিষ্যতে অনেক কাজে দিবে। ’
এবারের বিশ্বকাপজুড়েই ব্যাটিং অর্ডারে নানা রদবদল করেছে বাংলাদেশ। মেহেদী হাসান মিরাজ একাই খেলেছেন ছয়টি আলাদা পজিশনে। বাকি ব্যাটারদেরও রবদবদল হয়েছে নিয়মিত। এসব কি দলের পারফরম্যান্সে প্রভাব ফেলেছে?
জানতে চাইলে শেষ ম্যাচে অধিনায়কত্ব করা শান্ত বলেন, ‘আমার মনে হয় যে ব্যাটিং অর্ডার নিয়ে কোনো ব্যাটারের কোনো অভিযোগ ছিল না। যে যেখানে ব্যাটিং করেছে সবাই খুশি ছিল। কিন্তু এর সঙ্গে যেটা বলতে চাই যদি আমরা যেভাবে এসেছিলাম ওই জায়গায় যদি একই রকম থাকত হয়তো আলাদা কোনো কিছু হলেও হতে পারত। ’
‘কিন্তু আমার কাছে মনে হয় না যে, ওইটা করলেও অনেক সফল হয়ে যেতাম। আবার একই রকম থাকলে সাফল্যের পরিমাণটা অনেক সময় বেশি থাকে। তো এখন আর এটা নিয়ে বেশি কথা বলে লাভ নেই। ’