অন্তঃসত্ত্বা গৃহবধূকে গলা কেটে খুন

বাবার বাড়ি থেকে যৌতুকের টাকা এনে দিতে না পারায় তমালিকা আক্তার (২২) নামে অন্তঃসত্ত্বা এক গৃহবধূকে ছরিকাঘাত ও গলা কেটে হত্যার অভিযোগ ওঠেছে স্বামী রাসেল মিয়ার (৩০) বিরুদ্ধে। ঘটনার পর অভিযুক্ত রাসেল পলাতক রয়েছে। বুধবার গভীর রাতে নেত্রকোনার বারহাট্টা উপজেলার চরসিংধা গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।

ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে পুলিশ বৃহস্পতিবার সকালে রাসেলের বাবা আবুল হাসিম ও মা মাজেদা আক্তারকে আটক করে। রাসেল মিয়া সিংধা ইউনিয়নের চরসিংধা গ্রামের বাসিন্দা। সে ঢাকায় একটি তৈরি পোশাক কারখানায় শ্রমিকের কাজ করে।

স্থানীয় বাসিন্দা ও পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, প্রায় দেড় বছর আগে রাসেল মিয়া একই ইউনিয়নের ভাটিপাড়া গ্রামের রমিজ মিয়ার মেয়ে তমালিকা আক্তারকে বিয়ে করে। এটি রাসেলের দ্বিতীয় বিয়ে। তমালিকা বর্তমানে সাড়ে সাত মাসের অন্তঃসত্ত্বা।

বিয়ের পর থেকে রাসেল বিভিন্ন সময় তমালিকাকে বাবার বাড়ি থেকে যৌতুকের টাকা এনে দেওয়ার জন্য চাপ দেয়। এরই মধ্যে তমালিকা তার বাবার কাছ থেকে বেশ কিছু টাকাও এনে দেন। সম্প্রতি রাসেল আরও কিছু টাকা এনে দিতে বলে। এতে তার স্ত্রী রাজি হননি। এ নিয়ে স্ত্রীকে শারীরিক ও মানসিকভাবে নির্যাতন চালায়।

বিষয়টি নিয়ে গ্রাম্য সালিসও হয়। বুধবার দিনগত রাত পৌনে ২টার দিকে রাসেল তার স্ত্রীকে মারধর, ছুরিকাঘাত ও জবাই করে হত্যা করে পালিয়ে যায়। খবর পেয়ে পুলিশ বৃহস্পতিবার সকাল ৭টার দিকে নিহতের মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য নেত্রকোনা আধুনিক সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠায়।

এ ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে রাসেলের বাবা আবুল হাসিম ও মা মাজেদা আক্তারকে পুলিশ আটক করে। তবে পুলিশের হেফাজতে থাকায় আবুল হাসিম ও মাজেদা আক্তারের সঙ্গে কথা বলা সম্ভব হয়নি।

বারহাট্টা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মিজানুর রহমান ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, ‘অন্তঃসত্ত্বা ওই গৃহবধূ হত্যার ঘটনায় মামলার প্রস্তুতি চলছে। রাসেল মিয়াকে আটক করতে অভিযান চলছে। তার বাবা-মাকে আটক করা হয়েছে।’

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *