রাঙামাটি জেলা শহরের দক্ষিণ-কালিন্দীপুরের বাসিন্দা ঝর্ণা করকে (৪৫) যৌন হয়রানি ও মারধরের মিথ্যা মামলা দায়ের করার অপরাধে দণ্ডিত করেছেন আদালত। একইসঙ্গে মামলার বাদী ঝর্ণা করের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেছেন আদালত। রোববার রাঙামাটি চিফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট এ এন এম মোরশেদ খানের আদালত ওই নারীকে সাতদিনের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেন। একইসঙ্গে ওই নারীকে ১ হাজার টাকা জরিমানা, অনাদায়ে আরও ৭ দিনের বিনাশ্রম কারাদণ্ডের রায় দেন আদালত।
রাঙামাটি চিফ জুডিসিয়াল আদালতের বেঞ্চ সহকারী মো. মনজুরুল ইসলাম জানান, ২০১৫ সালের ২৯ জুলাই কোতয়ালী থানায় ঝর্ণা কর বাদী হয়ে তার আপন ভাসুর নেপাল কর (৭৫) ও ভাসুরের পুত্র তন্ময় কর (৩৫) ও চিত্ময় করের (২৮) বিরুদ্ধে যৌন হয়রানিসহ মারধরের মামলা দায়ের করেন।
তদন্ত করে ৩ জনকে অভিযুক্ত করে পুলিশ আদালতে চার্জশিট দাখিল করে। ২০১৫ সালে ৩ নভেম্বর চার্জশিট দাখিলের পর ২০১৬ সালের ২৭ জুন আসামিদের বিচার শুরু হয়। ২০১৯ সালের ২৩ ডিসেম্বর মামলার রায়ে আসামিদের খালাস দেওয়া হয়। মামলাটি মিথ্যা প্রমাণিত হওয়ায় রায় ঘোষণার দিনেই বাদীকে আদালত শোকজ করেন। কেন মিথ্যা মামলা দায়ের করেছেন তার ব্যাখ্যা দিতে নির্দেশ দেন।
মনজুরুল ইসলাম বলেন,বাদীর প্রতি ইস্যুকৃত কারণ দর্শানোর নোটিশ জারি হওয়া সত্বেও আদালতে হাজির না হওয়া এবং নোটিশের কোনও ব্যাখ্যা প্রদান না করায় মিথ্যা মামলা দায়ের করায় বাদী ঝর্ণা করকে ১৮৯৮ সালের ফৌজদারী কার্যবিধির ২৫০ (২) (৫) ধারায় ০৭ (সাত) দিনের বিনাশ্রম কারাদণ্ড ও ১ হাজার টাকা জরিমানা, অনাদায়ে আরও ৭ দিনের বিনাশ্রম কারাদণ্ডের রায় দেন।