কামরাঙ্গীরচরে কিশোরী গণধর্ষণ: আসামি রতনের স্বীকারোক্তি

ঢাকার কামরাঙ্গীরচরে এক কিশোরীকে গণধর্ষণের ঘটনার মূল আসামি রতন আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন।

রোববার (১২ জানুয়ারি) ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মিল্লাত হোসেন তার জবানবন্দি রেকর্ড করেন।

এই মামলায় মোট ছয় আসামির তিনজন হাসান, সিফাত ও সবুজ শনিবারই আদালতে স্বীকারোক্তি দিয়েছিলেন। এছাড়া রনিকে একদিনের রিমান্ডে পাঠান আদালত। এ ঘটনায় সহায়তাকারী হিসেবে আসামি হওয়া এক কিশোরীকে শনিবার (১১ জানুয়ারি) কারাগারে পাঠানো হয়।

মামলার অপর আসামি রতনকে শনিবার গ্রেফতার করে র‌্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র‌্যাব)। রোববার তাকে আদালতে হাজির করে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি রেকর্ডের আবেদন করেন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা কামরাঙ্গীরচর থানার পরিদর্শক শিকদার মুহিতুল আলম। সেই আবেদন মঞ্জুর করে মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মিল্লাত হোসেন তার জবানবন্দি রেকর্ড করেন।

মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা শিকদার মুহিতুল আলম জানান, গণধর্ষণের ঘটনায় নিজের জড়িত থাকার কথা স্বীকার করে রতন আদালতে জবানবন্দি দিয়েছেন। জবানবন্দিতে তিনি ধর্ষণের পরিকল্পনা ও ঘটনাসহ সবিস্তার বর্ণনা দিয়েছেন। মূলত প্রেমের প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করায় বন্ধুদের নিয়ে পরিকল্পিতভাবে ওই কিশোরীকে ডেকে এনে গণধর্ষণ করেন রতন। আর এক্ষেত্রে তাদের সহায়তা করেন ওই কিশোরীরই বান্ধবী, যাকে শনিবার গ্রেফতারের পর কারাগারে পাঠানো হয়েছে।

বৃহস্পতিবার রাতে কামরাঙ্গীরচরের রসুলপুরের একটি নির্মাণাধীন ভবনে ধরে নিয়ে ১৩ বছরের মেয়েটিকে পালাক্রমে ধর্ষণ করে পাঁচ বন্ধু। ধর্ষ‌ণে জ‌ড়িত সবার বয়স ১৮ বছর। মেয়েটি অসুস্থ হয়ে পড়লে তার এক বান্ধবীর মাধ্যমে খবর পেয়ে স্বজনরা উদ্ধার করে তাকে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের ওয়ান স্টপ ক্রাইসিস সেন্টারে ভর্তি করেন।

ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের ফরেনসিক বিভাগের প্রধান সোহেল মাহমুদ জানান, মে‌য়ে‌টি‌কে ধর্ষ‌ণের আলামত পাওয়া গে‌ছে।

শুক্রবার দুপুরে মেয়েটির মা কামরাঙ্গীরচর থানায় মামলা দায়ের করার পর রাতেই হাসান, সিফাত, সবুজ ও রনি এবং ধর্ষিতার সমবয়সী ওই বান্ধবীকে গ্রেফতার করে পুলিশ। এর মধ্যে পাঁচজনের বিরুদ্ধে ধর্ষণ ও কিশোরীর বিরুদ্ধে ধর্ষণে সহায়তার অভিযোগ অভিযোগ আনা হয়েছে। ধর্ষিত কিশোরী ও আসামিদের সবাই ওই এলাকার বস্তির বাসিন্দা।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *