সিরাজগঞ্জে এনায়েতপুরে চড় মেরে মাদ্রাসাছাত্রের কানের পর্দা ফাটিয়ে দেওয়া অভিযোগ উঠেছে প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে। এই ঘটনায় ছাত্ররা ভয়ে মাদ্রাসায় যেতে চাচ্ছে না বলে অভিযোগ করেছে অভিভাবকরা। অভিযুক্ত আমিরুল ইসলাম এনায়েতপুরের গোপালপুর বন্ধন তালিমুল কোরআন নুরানিয়া-হাফিজিয়া মাদ্রাসার প্রধান শিক্ষক।
বুধবার (৪ মার্চ) বেলকুচির দায়িত্বপ্রাপ্ত ইউএনও রহমত উল্লাহ সাংবাদিকদের বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, ‘ঘটনাটি তদন্ত করা হচ্ছে।’
অভিযোগকারী প্রথম শ্রেণির মাদ্রাসাছাত্র রিফাতের বাবা বুলবুল হোসেন বলেন, ‘গত ২ মার্চ সন্ধ্যায় ওই মাদ্রাসা প্রাঙ্গণে জলসা মাহফিলের আয়োজন করা হয়। মাহফিলে শিক্ষার্থীদের হৈ চৈ করলে শিক্ষক আমিরুল শিশু রিফাতকে চড় মেরে কানের পর্দা ফাটিয়ে দেন। স্থানীয়রা খবর পেয়ে রিফাতকে দ্রুত হাসপাতালে নিয়ে যান। ঘটনাটি সুরাহার নামে কৌশলে গোপন রাখে মাদ্রাসা কর্তৃপক্ষ।’
বুলবুল হোসেন বলেন, ‘কারণে-অকারণে প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীদের প্রায়ই মারধর করা হয়। এর কোনও প্রতিকার নেই। আমার ছেলেকে চড় মেরে কানের পর্দা ফাটিয়ে দেওয়ার ঘটনায়ও বিচার হয়নি।’
অভিযুক্ত আমিরুল ইসলাম বলেন, ‘প্রায় দেড় শত শিশুকে পড়ানো খুবই কঠিন কাজ। কথাও ঠিকমত শুনতে চায় না। অনেক সময় বাধ্য হয়ে শাসন করতে হয়। ঘটনাটি যেভাবেই ঘটুক, মুরুব্বিরা এর মীমাংসা করার চেষ্টা করছেন।’
মাদ্রাসা ব্যবস্থাপনা কমিটির সাধারণ সম্পাদক বাবুল মোল্লা জানান, ‘এর আগেও মাদ্রাসায় এমন ঘটনায় এক শিক্ষক বরখাস্ত হলেও সতর্ক হননি অন্যরা।’