বরগুনার আমতলী থানা হেফাজতে রহস্যজনকভাবে মারা যান হত্যা মামলার সন্দেহভাজন আসামি শানু হাওলাদার। এ ঘটনায় ওই থানার প্রত্যাহার হওয়া ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আবুল বাশারসহ জড়িতদের বিরুদ্ধে অনলাইনে দায়ের করা অভিযোগ মামলা হিসেবে গ্রহণ করেছে পুলিশ।
বৃহস্পতিবার (২ এপ্রিল) মামলার এজাহারকারী সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী ইশরাত হাসান এ তথ্য নিশ্চিত করেন।
তিনি বলেন, ‘শানুর মৃত্যুর ঘটনায় নির্যাতন ও হেফাজতে মৃত্যু (নিবারণ) আইন-২০১৩ এর ১৫ ধারা মোতাবেক বরগুনার পুলিশ সুপারের কাছে একটি অভিযোগ ই-মেইল করি। পরে বুধবার (১ এপ্রিল) রাতে বরগুনার পুলিশ সুপারের নির্দেশে আমতলী থানার প্রত্যাহার হওয়া সাবেক ওসির বিরুদ্ধে মামলা এজাহারভুক্ত করা হয়।
এজাহারভুক্তের বিষয়টি বরগুনার পুলিশ সুপার তার সরকারি ইমেইলের মাধ্যমে নিশ্চিত করেছেন। এর ফলে দেশে অনলাইনে মামলা হওয়ার ক্ষেত্রে এটাই প্রথম নজির হয়ে থাকবে।
এর আগে গত ৩০ মার্চ রাতে সন্দেহভাজন আসামি শানু হাওলাদারের রহস্যজনক মৃত্যুর ঘটনায় প্রত্যাহার হওয়া ওসি মো. আবুল বাশারসহ সংশ্লিষ্টদের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী ইশরাত হাসান এ অভিযোগ দায়ের করেন।
প্রসঙ্গত, গত ২৬ মার্চ বরগুনার আমতলী থানা হেফাজতে হত্যা মামলার সন্দেহভাজন আসামি শানু হাওলাদারের রহস্যজনক মৃত্যু হয়। থানা থেকে শানু হাওলাদারের (৫৫) ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করা হয়। পরিবারের অভিযোগ— পুলিশ তিন লাখ টাকা দাবি করেছিল। সেই টাকা না পেয়ে শানুকে নির্যাতন করে মেরে ফেলা হয়েছে।
তবে পুলিশের দাবি, শানু হাওলাদার আত্মহত্যা করেছেন। বরগুনার পুলিশ সুপার মারুফ হোসেন এ ঘটনা তদন্ত করতে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন ও অপরাধ) তোফায়েল আহমেদকে প্রধান করে তিন সদস্যের কমিটি গঠন করা হয়।
ময়নাতদন্ত শেষে ২৬ মার্চ রাত ১১টার দিকে শানু হাওলাদারের মরদেহ তার গ্রামের বাড়িতে পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করা হয়।
পরে এ ঘটনায় ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. আবুল বাশারকে প্রত্যাহার করা হয়। একইসঙ্গে থানার ওসি (তদন্ত) মনোরঞ্জন মিস্ত্রি ও সহকারী উপপরিদর্শক আরিফ হোসেনকে সাময়িক বরখাস্ত করেন জেলা পুলিশ সুপার মারুফ হোসেন।