মানিকগঞ্জের সিঙ্গাইর পৌর এলাকায় তাবলিগে জামাতে আসা আরও তিনজন মুসল্লি করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন। রোগতত্ত্ব, রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা প্রতিষ্ঠানে (আইইডিসিআর) নমুনা পরীক্ষা পর তাঁদের শরীরে করোনাভাইরাসের উপস্থিতি নিশ্চিত হওয়া গেছে। আজ মঙ্গলবার দুপুরে এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন সিভিল সার্জন আনোয়ারুল আমিন আখন্দ।
এ নিয়ে সিঙ্গাইরে তাবলিগ জামাতে আসা চার মুসল্লি করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন। এর আগে গত শনিবার রাতে এক মুসল্লির করোনাভাইরাসে আক্রান্ত নিশ্চিত হওয়া যায়।
নতুন করে করোনায় আক্রান্ত মুসল্লিদের সবার বাড়ি ফরিদপুরে। তাঁদের একজনের বয়স ১৭ বছর, আরেকজনের ৮০ বছর ও অপরজনের ৬৫ বছর।
জেলা স্বাস্থ্য বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, গত ২৪ মার্চ তাবলিগ জামাতের ১৩ জন মুসল্লি ফরিদপুর থেকে মানিকগঞ্জের সিঙ্গাইরের একটি মাদ্রাসায় আসেন। কয়েক দিন আগে এক মুসল্লির (৬০) সর্দি, জ্বর ও কাশি শুরু হয়। করোনার মতো উপসর্গ দেখা দেওয়ায় গত শনিবার তিনি আইইডিসিআর-এ গিয়ে করোনার নমুনা পরীক্ষা করেন। ওই দিন রাতে ১১ টার দিকে নমুনা পরীক্ষায় জানান যায়, ওই মুসল্লি করোনাভাইরাসে আক্রান্ত। এর পর সিঙ্গাইর পৌর এলাকা লকডাউন (অবরুদ্ধ) ঘোষণা করে উপজেলা প্রশাসন। একই সঙ্গে অপর ১২ মুসল্লি ও স্থানীয় ৬ ব্যক্তিসহ মোট ১৮ জনকে ওই মাদ্রাসায় কোয়ারেন্টিনে (সঙ্গনিরোধ) রাখা হয়। এ ছাড়া স্থানীয় আরও ১০ জন ব্যক্তিকে বাড়িতে কোয়ারেন্টিনে রাখা হয়।
ওই মুসল্লির শরীরে করোনাভাইরাসের উপস্থিতি পাওয়ায় গত রোববার আইইডিসিআর-এর প্রতিনিধি দল ওই মাদ্রাসায় আসেন। ওই দিন ১১ জন মুসল্লির নমুনা সংগ্রহ করে তাঁরা নিয়ে যান। গতকাল সোমবার মাদ্রাসায় কোয়ারেন্টিনে থাকা বাকী ৭জনের নমুনা নেওয়া হয়। আইইডিসিআরে নমুনা পরীক্ষার পর গতকাল রাতে আগের ১১ জনের মধ্যে তিনজন মুসল্লি কোভিড-১৯ (করোনা) এ আক্রান্ত বলে বিষয়টি নিশ্চিত করা হয়। আজ মঙ্গলবার দুপুরে সাংবাদিকদের বিষয়টি নিশ্চিত করেন সিভিল সার্জন।
আজ বেলা একটার দিকে সিভিল সার্জন আনোয়ারুল আমিন আখন্দ বলেন, প্রথম করোনায় আক্রান্ত মুসল্লিকে আইইডিসিআরের তত্ত্বাবধানে ঢাকার একটি হাসপাতালে আইসোলেশনে রাখা হয়েছে। নতুন আক্রান্ত তিন মুসল্লিকে সিঙ্গাইর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে আইসোলেশনে রাখার প্রস্তুতি চলছে। তাঁরা বর্তমানে ওই মাদ্রাসায় কোয়ারেন্টিনে রয়েছেন।