রাজশাহী: দলের শীর্ষ নেতারা কারাগারে আটক থাকার কারণে গত ২৮ অক্টোবরের পর থেকে ফেসবুক লাইভে নিয়মিত অবরোধ ও হরতালের মতো কর্মসূচি ঘোষণা করে আসছেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী। তবে হঠাৎ করেই বুধবার (৬ ডিসেম্বর) ভোরে তাকে সশরীরে দেখা গেছে রাজশাহীতে।
তার নেতৃত্বে বুধবার ভোরে রাজশাহীর তেরখাদিয়া এলাকায় অবরোধের সমর্থনে ঝটিকা মিছিল করেছেন বিএনপির নেতাকর্মীরা। ভোর সাড়ে ৬টার দিকে তেরখাদিয়ায় শহীদ কামারাজ্জামান বিভাগীয় স্টেডিয়ামের সামনের সড়কে মিছিলটি বের হয়।
১৫ থেকে ২০ জন নেতাকর্মী নিয়ে ঝটিকা মিছিল করেন রিজভী। ঝটিকা মিছিল শেষে সংক্ষিপ্ত সমাবেশে বক্তব্যও রাখেন তিনি।
এ সময় রুহুল কবির রিজভী হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে বলেন, দেশের জনগণ কোনোভাবেই একতরফা নির্বাচন হতে দেবে না। জনবিচ্ছিন্ন হয়ে আওয়ামী লীগ ফের পাতানো নির্বাচনের পথে এগোচ্ছে।
তারা ভেবেই নিয়েছে ২০১৪ ও ২০১৮ সালের মতো সাজানো নির্বাচন করে পার পেয়ে যাবে। কিন্তু তা এবার হতে দেওয়া হবে না। নীলনকশার এই নির্বাচন জনগণ যেকোনো মূল্যে রুখে দেবে। নব্বইয়ের ৬ ডিসেম্বর স্বৈরাচার এরশাদ যেমন জনরোষ থেকে বাঁচতে পারেনি, পদত্যাগ করতে বাধ্য হয়েছিল। এই সরকারও সেভাবে বাধ্য হবে। বিজয়ের মাসেই তাদের পতন ঘটবে।
সংক্ষিপ্ত বক্তব্য রেখেই রিজভী পুলিশ আসার আগেই সেখান থেকে সটকে পড়েন। এর আগে তার নেতৃত্বে ঝটিকা মিছিলটি মহানগরের তেরখাদিয়া স্টেডিয়াম সড়ক থেকে শুরু হয়ে রাজশাহী সিটি হাট রোডের ডাবলার মোড়ে গিয়ে শেষ হয়।
ওই মিছিলে বিএনপির স্বাস্থ্য বিষয়ক সম্পাদক রফিকুল ইসলাম, রাজশাহী যুবদলের সদস্যসচিব রেজাউল করীম টুটুল, যুগ্ম আহ্বায়ক সাদ্দাম হোসেন, শাহনাজ খুরশীদ রিজভী, রনি প্রাং, জেলা ছাত্রদলের আহ্বায়ক শামীম সরকারকে দেখা গেছে।
সরকারের পদত্যাগের এক দফা দাবিতে দশম দফায় ৪৮ ঘণ্টার অবরোধের প্রথম দিনে ‘আত্মাগোপনে’ থাকা রিজভী এই প্রথম ঢাকার বাইরে ঝটিকা মিছিল করলেন। সোমবার (৪ ডিসেম্বর) বিএনপি নেতা রুহুল কবির রিজভীর বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছেন আদালত। গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারির আগে প্রায় সবগুলো অবরোধেই রিজভী ঢাকার বিভিন্ন সড়কে ঝটিকা মিছিল করেছেন।