চেক প্রত্যাখ্যানের মামলায় এক বছরের সাজা হলেও চার বছর ধরে কারাগারে থাকা মুন্সিগঞ্জের কোলাপাড়ার রেজাউল কবির সুইটকে দ্রুত মুক্তি দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। একই সঙ্গে আগামী ৩০ এপ্রিল এ মামলার নিম্ন আদালতের নথি তলবসহ রুলও জারি করেছেন আদালত।
চার সপ্তাহের মধ্যে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সচিব, পুলিশ মহাপরিদর্শক (আইজিপি), ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৮-এর বিচারক, আইজি প্রিজন, গাজীপুরের জেল সুপার, কাশিমপুরের সিনিয়র জেল সুপার এবং মামলার বাদী মো. মজিবুর রহমানকে এ রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে।
এ-সংক্রান্ত করা রিট আবেদন নিয়ে শুনানি শেষে সোমবার (৯ মার্চ) বিচারপতি এম. এনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি মো. মোস্তাফিজুর রহমানের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন।
আদালতে রেজাউলের রিটের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী মোহাম্মদ শিশির মনির, তার সঙ্গে ছিলেন আইনজীবী আসাদ উদ্দিন।
এই চেক প্রত্যাখ্যানের মামলায় ২০১৫ সালের ৫ আগস্ট রেজাউল গ্রেফতার হন। এরপর ২০১৮ সালের ১৮ সেপ্টেম্বর নিম্ন আদালত তাকে পলাতক দেখিয়ে ১ বছরের সাজা দেন। অথচ ২০১৫ সালের ৫ আগস্ট গ্রেফতার হওয়ার পর থেকে তিনি কখনও জামিন পাননি। তাই ২০১৯ সালের ৬ আগস্ট তিনি জেল কর্তৃপক্ষের মাধ্যমে আদালত বরাবর একটি পত্র পাঠান। এতে বলা হয়, ২০১৫ সাল থেকে তিনি কারাগারে আছেন। এ তথ্য নিম্ন আদালতের নজরে আনা হলেও কোনও পদক্ষেপ নেওয়া হয়নি। এরপর তিনি হাইকোর্টে রিট মামলা দায়ের করেন।
মোহাম্মদ শিশির মনির বলেন, এক বছরের সাজা হওয়া সত্ত্বেও রিট আবেদনকারী ২০১৫ সাল থেকে আজ পর্যন্ত কারাভোগ করছেন, যা সংবিধানের ৩১, ৩২ ও ৩৩ অনুচ্ছেদের সঙ্গে সাংঘর্ষিক। এছাড়াও ঘটনাটি সংবিধানের ১০২(২)(খ)(অ) অনুচ্ছেদের সুস্পষ্ট লঙ্ঘন। তাই এই রিট দায়ের করা হয়।