বরিশালের গৌরনদীতে পাঠদানের সময় ধর্ম নিয়ে কটূক্তির অভিযোগে উজ্জল কুমার রায় নামে এক সহকারী শিক্ষককে পিটিয়ে পুলিশের কাছে সোপর্দ করেছে গ্রামবাসী। রবিবার সন্ধ্যা ৭টার দিকে উপজেলার মেদাকুল বাজারে এই ঘটনা ঘটে। এ ঘটনার পর ওই শিক্ষককে সাময়িক বরখাস্ত করে পাঁচ সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে।
অভিযুক্ত উজ্জল উপজেলার খাঞ্জাপুর ইউনিয়নের মেদাকুল বিএমএস ইনস্টিটিউশনের সহকারী শিক্ষক ও সমরসিংহ গ্রামের প্রফুল্ল রায়ের ছেলে।
শিক্ষার্থীরা জানায়, শনিবার (৭ মার্চ) দশম শ্রেণির ক্লাসে বিজ্ঞান পড়াতে আসেন সহকারী শিক্ষক উজ্জল কুমার রায়। খাদ্যে আমিষ নিয়ে পাঠদানের সময় গরু খাওয়া নিয়ে কটূক্তি করেন। শিক্ষার্থীরা বিষয়টি অভিভাবকদের জানালে ক্ষোভ ছড়িয়ে পড়ে। এ ঘটনার পর রবিবার সন্ধ্যা ৭টার দিকে মেদাকুল বাজারে শিক্ষক উজ্জল কুমার আসলে তাকে কিছু লোক মারপিট করে। খবর পেয়ে গৌরনদী থানা পুলিশ রাত সাড়ে ৮টার দিকে ঘটনাস্থলে পৌঁছে ওই শিক্ষককে উদ্ধার করে থানায় নিয়ে যায়। এ নিয়ে সোমবার সকাল ১০টার দিকে মোদাকুল বাজার থেকে বিক্ষোভ মিছিল করে এলাকাবাসী।
এ ব্যাপারে স্কুল ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি উপজেলা পরিষদের সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান মিজানুর রহমান মিজান জানান, ‘মৌখিক অভিযোগ পাওয়ার পর তাৎক্ষণিকভাবে অভিযুক্ত সহকারী শিক্ষক উজ্জল কুমার রায়কে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। এ ঘটনায় স্কুল ম্যানেজিং কমিটির সদস্য আব্দুল আহাদকে আহ্বায়ক করে ম্যানেজিং কমিটি সদস্য ব্রজবাঁশি পোদ্দার, প্রধান শিক্ষক কৃষ্ণকান্ত ঘরামী, সহকারী শিক্ষক সমীর কুমার দে, হাফেজ আমানউল্লাহকে সদস্য করে পাঁচ সদস্যে তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়। তাদের তিন কার্যদিবসের মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করতে বলা হয়েছে।’
গৌরনদী থানার ওসি গোলাম ছরোয়ার জানান, খবর পেয়ে অভিযুক্ত শিক্ষককে উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসা হয়েছে। ঘটনাস্থলে পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। ওই শিক্ষককে ৫৪ ধারায় বরিশাল আদালতে পাঠানো হয়েছে। গৌরনদী সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আব্দুর রব হাওলাদার ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন।
তবে অভিযোগ অস্বীকার করে শিক্ষক উজ্জল কুমার রায় বলেন, ‘একটি কুচক্রি মহল আমার ভাবমূর্তি নষ্ট করার জন্য অপপ্রচার চালাচ্ছে।’