নারায়ণগঞ্জ জেলার স্থানীয় বাসিন্দাদের মাধ্যমেই করোনা ছড়াচ্ছে

নারায়ণগঞ্জে করোনার লোকাল কমিউনিটি ট্রান্সমিশন হচ্ছে। আগে প্রবাসীদের মাধ্যমে ভাইরাসটি (কোভিড-১৯) ছড়ালেও এখন আর এতে সংক্রমিত হতে প্রবাসীর প্রয়োজন পড়ছে না। জেলার স্থানীয় বাসিন্দাদের মাধ্যমেই এটি ছড়াচ্ছে।

সোমবার (৬ এপ্রিল) এ তথ্য জানান জেলা সিভিল সার্জন মোহাম্মদ ইমতিয়াজ।

ঢাকার পর আক্রান্তের দিক থেকে এগিয়ে নারায়ণগঞ্জ ও মাদারীপুর। এরই মধ্যে বন্দর ও বাণিজ্যের এ শহরের বেশ কয়েকটি এলাকা পুরোপুরি লকডাউন করা হয়েছে। পুরো নারায়ণগঞ্জকেও লকডাউন বলা যায়। জেলা প্রশাসনের নির্দেশনা সেরকমই।

তিনি বলেন, আক্রান্তদের মধ্যে যাদের সঙ্গে কথা হয়েছে তাদের প্রবাসীদের সংস্পর্শে আসার তথ্য আমরা তেমন একটা পাইনি।  এটি লোকাল কমিউনিটি ট্রান্সমিশন হচ্ছে। এখন আর এ রোগ বিস্তারের জন্য প্রবাসীদের প্রয়োজন হচ্ছে না। তাই সবাইকে এখনই সচেতন হতে হবে, ঘরে অবস্থান করতে হবে। কোনোভাবেই বাইরে বের হওয়া যাবে না।

নাসিক কাউন্সিলর মাকসুদুল আলম খন্দকার খোরশেদ  বলেন, এখন প্রবাসী নয়, আমাদের মাধ্যমেই এ ভাইরাস ছড়াচ্ছে। কোনো কারণ ছাড়া কেউই যেন ঘর থেকে বের না হয় সেজন্য সবার কাছে অনুরোধ জানাচ্ছি আমরা। নয়তো নারায়ণগঞ্জে যেভাবে বিস্তার হচ্ছে এ রোগের তা নিয়ন্ত্রণ করা কষ্টসাধ্য হয়ে যাবে।

এর আগে গত ৮ মার্চ এ জেলায় ভাইরাসটিতে আক্রান্ত হিসেবে দু’জনকে চিহ্নিত করে সরকারের রোগতত্ত্ব, রোগনিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা প্রতিষ্ঠান (আইইডিসিআর)। তারা ইতোমধ্যেই সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন। পরে ২৩ মার্চ জেলায় আরো একজন আক্রান্ত পাওয়া যায় বলে জানিয়েছিলেন জেলা সিভিল সার্জন। ওই ব্যক্তিও গত ১ এপ্রিল সুস্থ হয়ে বাড়ি ফেরেন।

৬ এপ্রিল জেলায় ১২ জন করোনা আক্রান্ত রোগী পাওয়ার তথ্য জানানো হয়। একই সঙ্গে গত ২৪ ঘণ্টায় দু’জন ব্যক্তি করোনা আক্রান্ত হয়ে মারা যান বলে জানান সিভিল সার্জন। ৫ এপ্রিল জেলায় মোট ৬ জন নতুন আক্রান্ত পাওয়ার সংবাদ জানান তিনি।

এদিকে গত ৩০ মার্চ নারায়ণগঞ্জ বন্দরের রসুলবাগ প্রথমবারের মতো করোনা আক্রান্ত এক নারী মারা যান। এছাড়া এ জেলায় গত ৪ ও ৫ এপ্রিল আরও দুই করোনা আক্রান্ত ব্যক্তির মৃত্যু হয়।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *