রাজশাহীর পদ্মায় বিয়ের অনুষ্ঠান থেকে ফেরার পথে নৌকাডুবির ঘটনায় মৃতের সংখ্যা বেড়ে ৪ জন হয়েছে। শনিবার দুপুর (৭ মার্চ) পর্যন্ত চার জনের লাশ উদ্ধার করা হয়। এর আগে শুক্রবার ওই ঘটনায় এক শিশুর মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়। এখনও নিখোঁজ আছেন পাঁচ জন। তাদের খোঁজে উদ্ধার অভিযান চালাচ্ছে দমকল বাহিনী, বিজিবি, নৌ-পুলিশ ও বিআইডব্লিউটিএ এর যৌথ ডুবুরি দল।
নৌ-পুলিশের রাজশাহী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মেহেদী মাসুদ বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, ‘শনিবার উদ্ধার হওয়া তিন জন হলেন, কনের ভগ্নিপতি রতন আলী (৩০), কনের খালা মনি খাতুন (৩০) ও আত্মীয় একলাস আলী (২২)। এর আগে শুক্রবার রাতেই রতনের মেয়ে মরিয়মের (৫) লাশ উদ্ধার করা হয়।
নিখোঁজরা হলেন, কনে সুইটি খাতুন পূর্ণিমা (১৬), চাচা শামিম হোসেন (৩৫), শামিমের মেয়ে রশ্নি খাতুন (৭), কনের ফুফাতো বোন রুবাইয়া খাতুন (১৩) এবং খালা আখি খাতুন (২৫)।
রাজশাহী জেলা প্রশাসক হামিদুল হক বলেন, ‘নিখোঁজদের উদ্ধারে দমকল বাহিনী, বিজিবি ও নৌ-পুলিশ রাত থেকেই উদ্ধার অভিযান চালায়। সকালে তাদের সঙ্গে যুক্ত হয়েছে বিআইডব্লিউটিএ এর ডুবুরি দল। নৌকাডুবির ঘটনা তদন্তে অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট আবু আসলামকে প্রধান করে পাঁচ সদস্যের কমিটি গঠন করা হয়েছে। কমিটি সকাল থেকে তদন্ত শুরু করেছে। এছাড়াও হতাহতের অনুসন্ধান ও উদ্ধার কার্যক্রম সমন্বয় কেন্দ্র খোলা হয়েছে। নিহতদের পরিবারকে সরকারের পক্ষ থেকে ২০ হাজার টাকা করে দেওয়া হবে। এছাড়াও আহতের চিকিৎসা ব্যয় বহন করবে সরকার।’
প্রসঙ্গত, শুক্রবার চরখিদিপুর এলাকায় সন্ধ্যায় বিয়ের অনুষ্ঠান থেকে ফেরার পথে ৩৬ জন যাত্রী নিয়ে দুটি নৌকাডুবির ঘটনা ঘটে।