পেঁয়াজের মূল্য স্বাভাবিক রাখতে মনিটরিং জোরদার

পেঁয়াজের সরবারহ ও মূল্য স্বাভাবিক রাখতে বাজারে অভিযান জোরদার করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়। একইসঙ্গে পেঁয়াজ আমদানির ক্ষেত্রে আমদানিকারকদের প্রয়োজনীয় সব ধরনের সহায়তা দেওয়া হচ্ছে।

দেশি ও আমদানি করা পেঁয়াজের সরবরাহ স্বাভাবিক রয়েছে। প্রতিটি বাজারে পর্যাপ্ত দেশি ও আমদানি করা পেঁয়াজ মজুত রয়েছে। পেঁয়াজের মূল্য অস্বাভাবিক বৃদ্ধির কোনো যুক্তি সংগত কারণ নেই।

সোমবার (৬ জানুয়ারি) বাণিজ্য মন্ত্রণালয় থেকে পাঠানো এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।

এতে বলা হয়, বাজারে পর্যাপ্ত পেঁয়াজ রয়েছে। দেশে উৎপাদিত পেঁয়াজ (মুড়িকাটা) বাজারে এসেছে, বিভিন্ন দেশ থেকে চাহিদা মোতাবেক প্রয়োজনীয় পেঁয়াজ আমদানি করা হয়েছে এবং হচ্ছে। এখনও প্রতিদিন আমদানি করা পেঁয়াজ দেশে আসছে। বাজারে পেঁয়াজ, তেলসহ নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের সরবরাহ, মূল্য তদারকির জন্য ব্যাপকভাবে অভিযান চালানো হবে। জেলা প্রশাসন দেশব্যাপী এ অভিযান জোরদার করবে। বাণিজ্য মন্ত্রণালয় থেকে এরই মধ্যে বিভাগ ও জেলা প্রশাসনের কাছে প্রয়োজনীয় নির্দেশনা পাঠানো হয়েছে।

পেঁয়াজের আমদানি, সরবরাহ ও বিক্রয় মূল্যের বিষয়ে বাণিজ্য মন্ত্রণালয় তথা সরকার সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে কাজ করে যাচ্ছে। সরকার রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন প্রতিষ্ঠান ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) মাধ্যমে ঢাকাসহ দেশব্যাপী প্রায় দুইশত ট্রাক সেলের মাধ্যমে ৩৫ টাকা কেজি দরে পেঁয়াজ বিক্রয় অব্যাহত রেখেছে। বাজারে চাহিদা থাকা পর্যন্ত এ বিক্রয় অব্যাহত থাকবে। এছাড়া অনেক আমদানিকারক ও সামাজিক সংগঠন বিভন্ন জেলায় ন্যায্যমূল্যে (৪৫ টাকা) ট্রাক সেলের মাধ্যমে পেঁয়াজ বিক্রয় করছে।

ব্যবসায়ীদের নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের আমদানি মূল্য, ক্রয় মূল্যের চালান/রশিদ সংরক্ষণে রাখার অনুরোধ করা হচ্ছে। একই সঙ্গে দোকানে বিক্রয় মূল্যের তালিকা টাঙ্গিয়ে রাখার জন্য অনুরোধ করা হচ্ছে। অন্যায়ভাবে কোনো ব্যবসায়ীকে হয়রানি করা হবে না, কারসাজি করে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য মজুত করে দাম বাড়ালে বা কৃত্রিম সংকট সৃষ্টির চেষ্টা করলে তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *