সেনাবাহিনীর প্রধান মেজর জেনারেল আজিজ আহমেদ বলেছেন, ‘শান্তিপূর্ণ সময়ে সেনাবাহিনী মূলত প্রশিক্ষণে নিজেদের নিয়োজিত রাখে। আর এ প্রশিক্ষণের মাধ্যমে দক্ষতা অর্জন করে থাকে। সেনা সদস্যরা ফায়ারিংয়ে পারদর্শী না হলে কোনও প্রশিক্ষণই তেমন একটা কাজে আসবে না। তাই এ ফায়ারিংকে অত্যন্ত গুরুত্ব দিয়ে থাকি।’
বৃহস্পতিবার (৫ মার্চ) কুমিল্লা সেনানিবাসের ক্ষুদ্রাস্ত্র ফায়ারিং রেঞ্জে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী ফায়ারিং প্রতিযোগিতার পুরস্কার বিতরণী ও সমাপনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
প্রতিযোগিতায় বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর বিভিন্ন অঞ্চলের ১৫টি দল অংশ নেয়। প্রতিযোগিতায় টাঙ্গাইল জেলার ঘাটাইল সেনানিবাসের ১৯ পদাতিক ডিভিশন দল ৩১৫.৯৫ পয়েন্ট পেয়ে চ্যাম্পিয়ন এবং কুমিল্লা সেনানিবাসের ৩৩ পদাতিক ডিভিশন দল ৩১০.৩১ পয়েন্ট পেয়ে রানার্স আপ হয়। ৭ পদাতিক ডিভিশনের সৈনিক শ্রী অসীম কুমার শর্মা শ্রেষ্ঠ ফায়ারার এবং ১৯ পদাতিক ডিভিশনের সৈনিক মো. মেহেদী হাসান দ্বিতীয় শ্রেষ্ঠ ফায়ারার নির্বাচিত হন। পরে বিজয়ীদের মাঝে পুরস্কার বিতরণ করেন অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি। এসময় ৩৩ পদাতিক ডিভিশনের জিওসি মেজর জেনারেল আহম্মদ তাবরেজ শামস্ চৌধুরী ও সেনাসদরসহ সেনাবাহিনীর বিভিন্ন পর্যায়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা এবং কুমিল্লা এরিয়ার সব কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
গত ১ মার্চ এ প্রতিযোগিতা শুরু হয় এবং ৫ মার্চ প্রতিযোগিতা শেষ হয়।