স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণ মন্ত্রী জাহিদ মালেক বলেছেন, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা এবং জাতিসংঘ আমাদের কাজের প্রশংসা করেছে। আমরা চাইবো চিকিৎসার বাইরে যেন কেউ না থাকে।
সোমবার (৩০ মার্চ) কোভিড-১৯ নিয়ে আয়োজিত জাতীয় রোগতত্ত্ব, রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা প্রতিষ্ঠানের (আইইডিসিআর) অনলাইন সংবাদ সম্মেলনে যুক্ত হয়ে স্বাস্থ্যমন্ত্রী এ কথা বলেন।
সংবাদ সম্মেলনে কোভিড-১৯ পরীক্ষার জায়গা সম্প্রসারিত করা হয়েছে জানিয়ে স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, ‘১১টি ল্যাবরেটরি বেশ কিছু কাজ করছে। আরও ১৭টি ল্যাবরেটরি স্থাপন করা হবে, যেন আরও পরীক্ষা হয়। তবে চট্টগ্রাম এবং কক্সবাজারের ল্যাবরেটরিতে পরীক্ষা করার হার কম। পিপিই দিয়েছি, আরও পিপিই দেওয়ার ব্যবস্থা চলছে। এটা চলমান প্রক্রিয়া। যারা পিপিই ব্যবহার করছেন, যথাযথভাবে যেন ব্যবহার হয় এবং যেন নষ্ট না হয় সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে।’
জাহিদ মালেক বলেন, ‘বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা এবং জাতিসংঘ আমাদের কাজের প্রশংসা করেছে। আমরা চাইবো চিকিৎসার বাইরে যেন কেউ না থাকে।’
তিনি বলেন, ‘চিকিৎসক ও নার্সরা ভালো কাজ করছেন। তবে কিছু তথ্য এসেছে, প্রাইভেট চেম্বার কম আছে। ডাক্তাররাও কম আসছে। আমি আহ্বান করবো— সবাই যেন যার যার কর্মস্থলে উপস্থিত থাকেন।’
স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, ‘মিডিয়াকে বলতে চাই, আপনারা সুন্দর কাজ করছেন, তথ্য দিচ্ছেন। কিন্তু এমন কোনও তথ্য দেবেন না, যার মাধ্যমে দেশবাসী আতঙ্কিত হয়। এ তথ্য দেওয়াও ঠিক না যে অভাব রয়েছে। আমাদের চিকিৎসার কোনও অভাব নেই। কিটের কোনও অভাব নেই, পরীক্ষারও যথেষ্ট ব্যবস্থা করেছি। পিপিই’রও আর অভাব নেই। কাজেই এই তথ্যগুলো দিলে মানুষ আশ্বস্ত হবে। আমাদের দেশ এখন ভালো আছে, নিরাপদে আছে।’
বাংলাদেশ যেহেতু আগে থেকে প্রস্তুতি নিয়েছিল, তাই মনে করি তাড়াতাড়ি ব্যবস্থা করতে পেরেছি। ঘাবড়ানোর প্রয়োজন নেই, বলেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক।