খাগড়াছড়িতে হামে শিশুর মৃত্যু

রাঙামাটির পর এবার খাগড়াছড়িতেও হামের প্রাদুর্ভাব দেখা দিয়েছে। খাগড়াছড়ি সদর ও দীঘিনালা উপজেলায় আজ সোমবার (৩০ মার্চ) পর্যন্ত হামে আক্রান্ত হয়ে এক শিশুর মৃত্যু ও আরও ৩২ জনের হামে আক্রান্ত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। জেলা স্বাস্থ্য বিভাগ ও স্থানীয় প্রশাসন তাৎক্ষণিকভাবে মেডিক্যাল টিম গঠন করে এসব এলাকায় চিকিৎসা দিচ্ছে।

দীঘিনালা উপজেলার রতিচন্দ্র কার্বারী পাড়ায় ধনিতা ত্রিপুরা নামে এক শিশুর মৃত্যুর পর ঘটনাটি জানাজানি হয়। দীঘিনালা ছাড়াও খাগড়াছড়ির সদরের ভাইবোনছড়ার সুদর্শনপাড়া, রবিধন পাড়া, আলামনি পাড়া ও সামবাড়ি গ্রামে হামে আক্রান্ত হচ্ছে শিশুরা।

ভাইবোনছড়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান পরিমল ত্রিপুরা জানান, গত চার-পাঁচ দিন ধরে দুর্গম রবিধন পাড়া, আলামনি পাড়া, সামবাড়িসহ আশপাশের গ্রামের শিশুরা অসুস্থ হয়ে পড়ছে। স্বাস্থ্যকর্মীদের জানানোর পর মেডিক্যাল টিম এসে শিশুদের চিকিৎসা সেবা দিচ্ছে।

খাগড়াছড়ি সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. শামছুন্নাহার ও দীঘিনালা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ উল্লাহ জানান, খবর পেয়ে আক্রান্ত এলাকাগুলোতে পৃথক মেডিক্যাল টিম ঘটনাস্থলে গিয়ে শিশুদের চিকিৎসা দেওয়া শুরু করেছে। যেহেতু হাম আক্রান্ত শিশুর সংখ্যা বাড়ছে সেহেতু ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আলোচনা করে আক্রান্ত এলাকাগুলোতে দ্রুত সময়ের মধ্যে হামের টিকা দেওয়ার কার্যক্রম শুরু করা হবে।

খাগড়াছড়ির সিভিল সার্জন ডা. নুপুর কান্তি দাশ জানান, নিহত ও আক্রান্ত শিশুদের নমুনা সংগ্রহ করে পরীক্ষার জন্য পাঠানো হচ্ছে। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে শিশুরা হামে আক্রান্ত হতে পারে। চলতি মাসে হামের টিকা দেওয়ার কথা ছিল। কিন্তু করোনা পরিস্থিতির কারণে তা স্থগিত করা হয়েছে। পাহাড়ের দুর্গম এলাকাগুলোতে হামের প্রাদুর্ভাব দেখা দেওয়ায় দ্রুত এ কার্যক্রম শুরুর পরিকল্পনা করা হচ্ছে।

প্রসঙ্গত, গত এক মাসে রাঙামাটি জেলার বাঘাইছড়ি উপজেলার সাজেক ইউনিয়নের বেশকিছু গ্রামে হামে আক্রান্ত হয়ে অন্তত সাত শিশুর মৃত্যু হয়েছে। এছাড়া শতাধিক শিশু হামে আক্রান্ত হয়ে চিকিৎসাধীন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *