সাতছড়িতে কলেজছাত্রী ধর্ষণ মামলার প্রধান আসামি গ্রেফতার

হবিগঞ্জের চুনারুঘাটে সাতছড়ি জাতীয় উদ্যানে কলেজছাত্রীকে গণধর্ষণ মামলার প্রধান আসামি শামীম আহমেদ মামুনকে (২২) গ্রেফতার করেছে পুলিশ। মামুন হবিগঞ্জ সদর উপজেলার বাতাসর গ্রামের মকসুদ আলীর ছেলে।

বৃহস্পতিবার (৯ জানুয়ারি) বিকেলে গ্রেফতারের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক পুলিশের এক কর্মকর্তা।

এর আগে বুধবার (৮ জানুয়ারি) ওই কলেজছাত্রী নিজে বাদী হয়ে হবিগঞ্জের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আদালত-২ এ পাঁচজনকে আসামি করে একটি মামলা দায়ের করেছেন। মামলা এফআইআরভুক্ত করে তদন্তের জন্য চুনারুঘাট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে (ওসি) নির্দেশ দিয়েছেন আদালতের বিচারক জিয়া উদ্দিন মাহমুদ।

পরে দিনগত রাতে মামুনকে তার এক আত্মীয়ের বাসা থেকে গ্রেফতার করা হয়েছে বলে জানা গেছে।

নাম প্রকাশে ওই কর্মকর্তা  বলেন, মামুনকে গ্রেফতার করা হয়েছে জেনেছি। তবে কোথা থেকে কিভাবে গ্রেফতার করা হয়েছে তা জানা নেই। অন্য জড়িতদের গ্রেফতারে পুলিশি অভিযান চলছে।

যোগাযোগ করা হলে চুনারুঘাট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শেখ নাজমুল হক  বলেন, আদালত থেকে আদেশ থানায় এসে পৌঁছেনি। কাগজপত্র পেলে মামলার অগ্রগতি সম্পর্কে জানাবে পুলিশ।

নিজামপুর ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান তাজ উদ্দিন আহমেদ বলেন, মামলা দায়েরের পর রাতেই হবিগঞ্জ শহরে মামুনের নানার বাসা থেকে তাকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।

মামলার অভিযোগে জানা যায়, নির্যাতনের শিকার ওই কলেজছাত্রীর সঙ্গে মামলার প্রধান আসামি মামুনের প্রেমের সম্পর্ক ছিল। গত ৭ জানুয়ারি দুপুর ১টার দিকে ওই কলেজছাত্রীর মোবাইল নম্বরে কল করে মামুন তাকে বেড়াতে নিয়ে যাওয়ার জন্য বলেন। পরে কলেজ থেকে তিনি বের হয়ে মামুনের সঙ্গে অটোরিকশায় করে সাতছড়ি জাতীয় উদ্যানে যান। সেখানে মামুন প্রথমে তাকে ধর্ষণ করেন। পরবর্তীতে ফজলুর, আলী ও জুনেদসহ অজ্ঞাতপরিচয় আরও দু’জন তাকে গণর্ধষণ করেন। এসময় অটোরিকশাচালক আক্কাছ জঙ্গলের বাইরে থেকে তাদের পাহারা দিচ্ছিলেন। গণধর্ষণের পর অসুস্থ অবস্থায় ওই ছাত্রীকে ফেলে রেখে ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে যান অভিযুক্তরা। পরবর্তীতে তিনি অরণ্য থেকে বেড়িয়ে এসে চিৎকার করলে আশপাশের লোকজন এগিয়ে এসে ওই কলেজছাত্রীকে বাড়িতে পৌঁছে দেন।

আটক মামুন ছাড়াও মামলার অন্য চার আসামি হলেন- হবিগঞ্জ সদর উপজেলার হাতির থান গ্রামের মৃত রমিজ আলীর ছেলে অটোরিকশা চালক আক্কাছ আলী (২০), বানিয়াচং উপজেলার মথুরাপুর গ্রামের মৃত আব্দুল হান্নানের ছেলে ফজলুর রহমান (২৪), নবীগঞ্জ উপজেলার কায়স্থ গ্রামের মৃত ময়না মিয়ার ছেলে আলী হোসেন (২৪) ও চুনারুঘাট উপজেলার বনগাঁও গ্রামের আব্দুল লতিফের ছেলে জুনেদ লতিফ (২৭)।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *