সীমিত আকারে ব্যাংকিং ব্যবস্থা চালু রাখতে ৫ নির্দেশনা

সরকার ঘোষিত সাধারণ ছুটির সময়ে আগামী ২৯ মার্চ থেকে ২ এপ্রিল পর্যন্ত সীমিত আকারে ব্যাংকিং ব্যবস্থা চালু রাখার জন্য ব্যাংকগুলোকে নির্দেশ দিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক। মঙ্গলবার (২৪ মার্চ) এ ব্যাপারে একটি সার্কুলার জারি করা হয়েছে। সার্কুলারে ৫টি নির্দেশনা মেনে চলার জন্য ব্যাংকগুলোকে বলা হয়েছে।

দেশের সব বাণিজ্যিক ব্যাংকের প্রধান নির্বাহীর কাছে পাঠানো এই সার্কুলারে বলা হয়েছে, করোনাভাইরাস সংক্রমণ রোধকল্পে সরকার আগামী ২৯ মার্চ থেকে ২ এপ্রিল পর্যন্ত সাধারণ ছুটি ঘোষণা করেছে। এমতাবস্থায়, ২৯ মার্চ থেকে ২ এপ্রিল পর্যন্ত সীমিত আকারে ব্যাংকিং কার্যক্রম অব্যাহত রাখার জন্য ৫টি নির্দেশনা অনুসরণ করতে হবে:

১. শুধুমাত্র নগদ জমা ও উত্তোলনের জন্য অনলাইন সুবিধা সম্বলিত ব্যাংকগুলোর ক্ষেত্রে গ্রাহকদের লেনদেনের সার্বিক সুবিধা নিশ্চিত করতে শাখাগুলোর মধ্যে দূরত্ব বিবেচনায় নিয়ে প্রয়োজনীয় সংখ্যক শাখা খোলা রাখতে হবে।

২. অনলাইন সুবিধাবহির্ভূত ব্যাংকের শাখাগুলো শুধুমাত্র নগদ জমা ও উত্তোলনের জন্য খোলা থাকবে।

৩. শুধুমাত্র জরুরি বৈদেশিক লেনদেনের জন্য এডি শাখাগুলো খোলা রাখা যাবে।

৪. উপরোক্ত সবক্ষেত্রে দৈনিক ব্যাংকিং লেনদেনের সময়সূচি হবে সকাল ১০টা থেকে বেলা ১২টা পর্যন্ত। লেনদেন পরবর্তী আনুষঙ্গিক কার্যক্রম সম্পাদনের জন্য সংশ্লিষ্ট শাখা এবং প্রধান কার্যালয়ের শুধুমাত্র সংশ্লিষ্ট বিভাগ দুপুর ১টা ৩০ মিনিট পর্যন্ত খোলা রাখা যাবে।

৫. এটিএম ও কার্ডের মাধ্যমে লেনদেন চালু রাখার সুবিধার্থে এটিএম বুথগুলোতে পর্যাপ্ত নোট সরবরাহসহ সার্বক্ষণিক চালু রাখার প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিশ্চিত করতে হবে।

এর আগে ২৩ মার্চ ব্যাংকিং ব্যবস্থা সীমিত আকারে খোলা রাখার সিদ্ধান্ত নেয় কেন্দ্রীয় ব্যাংকের শীর্ষমহল। এ প্রসঙ্গে বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক ও মুখপাত্র সিরাজুল ইসলাম বলেন, ‘সাধারণ মানুষের প্রয়োজনের কথা ভেবে সরকারের সঙ্গে আলোচনা করে সাধারণ ছুটির সময়ে সীমিত আকারে ব্যাংক খোলা রাখার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।’

প্রসঙ্গত, সরকার আগামী ২৯ মার্চ থেকে ২ এপ্রিল পর্যন্ত সাধারণ ছুটি ঘোষণা করেছে। এছাড়া ২৬ মার্চ স্বাধীনতা দিবসের ছুটি এবং সাপ্তাহিক ছুটি মিলিয়ে টানা ১০ দিন ছুটি পাচ্ছেন সরকারি-বেসরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীরা।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *