গাজায় বিমান ও ট্যাংক হামলা বাড়িয়েছে ইসরায়েল

অবরুদ্ধ গাজায় বিমান ও ট্যাংক হামলা বাড়িয়েছে ইসরায়েল। এ অবস্থায় অঞ্চলটিতে অত্যন্ত উত্তেজনাপূর্ণ পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে।

সোমবার (৩০ অক্টোবর) এ তথ্য নিশ্চিত করেছে ইসরায়েলি সামরিক বাহিনী। তারা গাজা শহরের বাসিন্দাদের দক্ষিণ অংশে চলে যেতে নির্দেশ দিয়েছে।

খবর আল জাজিরা।
ফিলিস্তিনিদের দক্ষিণ গাজায় চলে যেতে নির্দেশ দিলেও সেখানকার সংযোগ সড়কে ট্যাংক মোতায়েন রেখেছে ইসরায়েলি বাহিনী।

তারা গাজা শহর থেকে বের হওয়ার অনেক পথ অবরুদ্ধ করে রেখেছে।
যারা শহর ছেড়ে চলে যাচ্ছেন তাদের যানবাহনেও গুলি করছে ইসরায়েলিরা।

এ ভিডিওতে দেখা যায়, শহরের উপকণ্ঠে সালাহ আল-দিন স্ট্রিটে একটি ধুসর রঙের গাড়িতে ট্যাংক হামলা চালিয়েছে ইসরায়েল। মুহূর্তেই গাড়িটি ধ্বংস হয়ে যায়।
এর আগে ফিলিস্তিনের গাজা উপত্যকায় দ্বিতীয় পর্বের যুদ্ধ শুরু করার কথা জানায় ইসরায়েল। উপত্যকার দক্ষিণ-পূর্ব অংশ থেকে প্রচুর ইসরায়েলি ট্যাংককে পশ্চিম দিকে এগিয়ে যেতে দেখা গেছে। সেখানকার সব ধরনের যোগাযোগ ব্যবস্থাও বন্ধ করে দিয়েছে দখলদাররা।

আল জাজিরার লাইভ আপডেট প্রোগ্রামে বলা হয়, ইসরায়েলি সৈন্যরা একটি সংযোগস্থলের কাছাকাছি অবস্থান করছিল যেটি গাজার বিভিন্ন অংশকে সংযুক্ত করে। তারা সেখানে পৌঁছে নিয়ন্ত্রণ নিয়ে ফেললে গাজা উত্তর ও দক্ষিণ অঞ্চলকে বিভক্ত করে ফেলবে। এতে জন চলাচলে উল্লেখযোগ্য বাধা সৃষ্টি হবে।

শহরের যোগাযোগ ব্যবস্থা, যেমন- ফোন ও ইন্টারনেট পরিষেবা বন্ধ করে দেওয়া হয় সে সময়।

হামাসের মুখপাত্র হাজেম কাসেমও গাজা শহরের উপকণ্ঠে ইসরায়েলি ট্যাংক ঢোকার খবর নিশ্চিত করেন। তিনি বলেন, ফিলিস্তিনি প্রতিরোধকারীরা সালাহ আল-দিন স্ট্রিটে ইসরায়েলি ট্যাংকের ওপর হামলা চালিয়েছে। ইসরায়েলি সেনারাও দক্ষিণ-পূর্ব গাজার একটি এলাকায় হামলা চালিয়েছে। এর আগে অঞ্চলটি বিমান হামলা চালিয়ে ধ্বংস করে দেওয়া হয়।

ইসরায়েরেলে স্থল আগ্রাসন রুখে দিতে ফিলিস্তিনি প্রতিরোধকারীরা সব সময় প্রস্তুত বলেও উল্লেখ করেন হাজেম কাসেম।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *